ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

পুড়ছে ঝিনাইদহ, পানির স্তর নেমে গেছে

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, এপ্রিল ২২, ২০২৪

পুড়ছে ঝিনাইদহ, পানির স্তর নেমে গেছে
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে ঝিনাইদহ। পুড়ছে মাঠের ফসল, পাখিরা হাঁসফাঁস করছে। হস্তচালিত নলকূপের পানির স্তর নেমে গেছে। শ্যালোতে পানি উঠছে না। মহাসড়কগুলোর পিচ গলতে শুরু করেছে। যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। চরম সংকটে পড়ছেন কৃষক এবং খেটেখাওয়া দিনমজুররা। কর্মহীন সময় কাটছে তাদের।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজার গোপালপুর মাঠে ইবাদত হোসেন শ্যালোইঞ্জিন চালিয়ে সেচ কাজ করেন। দুই সপ্তাহ আগেও তার সেচপাম্পে পর্যাপ্ত পানি উঠত। এখন ৪ থেকে ৫ ফুট গভীরে শ্যালোইঞ্জিন বসিয়েও পানি উঠছে না। ভারি বৃষ্টি না হলে ইবাদতের মতো এলাকার হাজারও কৃষক জমিতে সেচ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

এদিকে হস্তচালিত টিউবওয়েল পানি উঠছে না। প্রাপ্ততথ্য মতে, ছয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নলকূপে পানি কম উঠছে। সাধারণত ২০ থেকে ৩০ ফুট নিচে পানির স্তর পাওয়া যায়। কিন্তু এখন ৩০ থেকে ৪০ ফুট নিচেও পানির লেয়ার মিলছে না। 

ভুক্তভোগীরা বলছে, ইরি ধানের সেচ কাজে এবং পুকুর খনন করে মাছের চাষের জন্যে মাত্রাতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করায় পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। বেশির ভাগ বিল-ঝিল, জলাশয় ও পুকুর-নদীর পানি শুকিয়ে গেছে। নদ- নদীর পানি ৮০ শতাংশ শুকিয়ে গেছে। এসব নদীর তলদেশে কৃষকরা এখন ধানচাষ করছেন। জেলা কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন বলছে, অনুমতি ছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে কয়েক হাজার গভীর ও অগভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। এসব নলকূপ থেকে নিয়ম না মেনে পানি উত্তোলন করায় স্তর নেমে যাচ্ছে। 

বাজার গোপালপুরের ইলেকট্রিশেয়ান হুমায়ুন কবির বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৫-৬টি মোটরে পানি উঠছে না। কোনো সমাধান দিতে পারছি না। 

বৃষ্টি হলে স্বাভাবিক হবে বলে তিনি মনে করেন। 

জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান, জেলাজুড়ে কত হাজার বেসরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে নলকূপ রয়েছে, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই। সরকারিভাবে জেলায় ১৭ হাজার গভীর ও ১৮ হাজার অগভীর নলকূপ রয়েছে। এসব নলকূপে পানি উত্তোলন স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। 

ঝিনাইদহ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) মো. জাহিদ হাসান জানান, এখন শুষ্ক সময়ে নদ-নদীর পানি কমে আসে। যে কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কিছুটা নেমে যায়। পানি ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। নিয়ম মেনে শ্যালোপাম্প স্থাপন করলে পানির সংকট কমবে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।