বরগুনার আমতলীতে মাজহারুল ইসলাম নামের এক তরমুজ চাষির ক্ষেতের বাড়ন্ত ৫ শতাধিক তরমুজ কুপিয়ে ফাটিয়ে নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা। প্রায় ৪ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে বর্গা নেয়া ২৪ বিঘা জমিতে ওই তরমুজের আবাদ করেছিলেন অসহায় ওই কৃষক।
বৃহস্পতিবার (২১মার্চ) দিবাগত গভীর রাতে আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের হরিমৃঞ্জয় গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
২২মার্চ সকালে মাজহারুল ইসলাম তার রোপনকৃত তরমুজ ক্ষেতে গিয়ে দেখেন বড় বড় সাইজের বাড়ন্ত প্রায় ৫ শতাধিক তরমুজ দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ফাটিয়ে টুকরো টুকরো করেছে। উপড়ে ফেলা হয়েছে বেশ কিছু গাছও।
জানা যায়, তরমুজ চাষি মাজহারুল ইসলামের ক্ষেতের তরমুজগুলোর অধিকাংশই আকারে ছোট। গত কয়েকদিন পূর্বে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে তরমুজ চাষী মাজহারুল ইসলামের বাড়ীর মিরাজ, দেলোয়ার, আনোয়ার, মামুন, ওমেন তাকে মারধোর করেন এবং তরমুজ কিভাবে বিক্রি করে তা দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
সরেজমিনে আজ বিকেলে ভুক্তভোগী ওই তরমুজ চাষির ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, অশ্রুসজল চোঁখে দাঁড়িয়ে আছেন কৃষক মাজহারুল ইসলাম। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, অনেক কষ্ট করে দিনরাত শ্রম দিয়ে তরমুজ চাষ করেছি। এখন আমার সব শেষ হয়ে গেল। পারিবারিক বিরোধে আমাদের বাড়ীর মিরাজ, দেলোয়ার, আনোয়ার, মামুন, ওমেন, আমাকে জোর করে ধরে নিয়ে মারধোর করেছে এবং তরমুজ কিভাবে বিক্রি করি তা দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। অরাই আমার তরমুজ নষ্ট করেছে। আমি এর বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে ওমেন পারিবারিক বিরোধের বিষয়টি স্বীকার করলের ক্ষেতের বাড়ন্ত তরমুজ কুপিয়ে ফাটিয়ে নষ্ট করার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ওই ঘটনায় এখোনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।