কুয়াশা ভেদ করে ভোরের আলো যখন ফুটছিল তার আগেই দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ইনিষ্টিটিউট বিদ্যালয়ে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করতে চলছিল নানা প্রস্ততি।
বসন্ত বরণ উৎসব উদযাপন উপলক্ষে পৌর শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ইনিষ্টিটিউট বিদ্যালয়ের আয়োজনে বিদ্যালয় চত্বরে সাজানো হয় মুক্তমঞ্চ।
সকাল থেকে বিদ্যালয় চত্বরে বসন্তবরণ উৎসব পালনের জন্য ক্রমেই বাড়তে থাকে শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জমায়েত ।
ঋতুরাজকে বরণ করতে বাসন্তী রঙের শাড়ি ও হলুদ পাঞ্জাবী পরে শিশুরা-কিশোর সহ নানা বয়সের নারী-পুরুষ এগিয়ে যান মুক্তমঞ্চের দিকে। সবাই নেচে-গেয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে বরণ করে নেয় বসন্তকে।
শীতকালকে বিদায় জানিয়ে প্রকৃতিতে আসে ঋতুরাজ বসন্ত। বসন্তের প্রথম দিনের সঙ্গে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস যুক্ত হওয়ায় উৎসবের মাত্রাটা আরও বেড়ে যায়। তাইতো উৎসবে অংশ নিতে সাতসকালেই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন তরুন তরুনীরা। সেখানে বসন্ত উৎসব উদযাপন অনুষ্ঠানে আনন্দে মেতে ওঠেন সকলেই। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা উৎসবে নেচে-গেয়ে মাতেন সবাই।
দিবসের শুভ সূচনা হয় কবিতা আবৃতির মধ্যদিয়ে । এরপর একক ও দলীয় নৃত্য ,সংগীত পরিবেশন করেন শিশু শিক্ষার্থীরা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ইনিষ্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন,আমাদের দেশ ছয় ঋতুর। শীতকালকে বিদায় জানিয়ে প্রকৃতিতে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। এটি আমাদের বাংলার ঐতিহ্য। শিক্ষার্থীদের এ ঋতুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং তাদের মাঝে জানান দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র আয়োজন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ইনিষ্টিটিউটের শিশু শিক্ষার্থী অর্থি ও রিন্তি জানায়, তারা বসন্ত উৎসবে এসেছেন তাদের অভিভাবকদের সাথে। তাদের খুব ভালো লাগছে,সকলে মিলে অনেক আনন্দ করছে।
এদিকে বেলা গড়ানোর সাথে সাথে শহরের অলিতে-গলিতে ছড়িয়ে যায় উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষরা বাসন্তী শাড়ী কিংবা লাল,হলুদ রঙের পোশাকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
তরুন-তরুণীরা আড্ডা-গল্পে মেতে ওঠেন। বিশেষ করে ফুলের দোকানগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। প্রিয়জনকে ভালোবাসা দিবসের উপহার দিতে সবাই ছোটেন ফুলের দোকানে। এ সুযোগ কাজে লাগান ব্যবসায়ীরা। বেশি দামে বিক্রি করেন ফুল।
শহরের অলিগলি,ব্যাস্ততম মোড়গুলোও যেন বসন্ত বরণ করছে মিলেমিশে। উৎসবের রঙে রঙিন হয়ে উঠে পুরো শহর।
ফুল ব্যবসায়ী জয়ন্ত সাহা বলেন, প্রতি বছর এই দিনটিতে যে পরিমান ফুল বিক্রি হয়, এবার তার চেয়ে একটু কম বিক্রি হচ্ছে। কারন এবার বেশি দামে ফুল কিনতে হয়েছে,তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।