Can't found in the image content.
আল মামুন, বরিশাল প্রতিনিধি | আপডেট: শনিবার, ডিসেম্বর ৪, ২০২১
পটুয়াখালীর গলাচিপা
থেকে জলদস্যু
দলের মূল
সমন্বয়কারীসহ ৫
জনকে আটক
করেছে র্যাপিট এ্যাকশন
ব্যাটালিয়ন র্যাব-৮ সদস্যরা।
এ সময় তাদের
কাছ থেকে
একটি একনলা
বন্ধুক, দুটি
ওয়ান শুটার
গানসহ তিনটি
আগ্নেয়াস্ত্র, ৮
রাউন্ড গুলি,
চারটি দেশি
ধারলো অস্ত্র,
দুটি লোহার
রড, বেশ
কয়েকটি মোবাইল
ফোন, নগদ
টাকা, গামছাসহ
ডাকাতির কাজে
ব্যবহৃত মালামাল
জব্দ করা
হয়।
শুক্রবার বিকালে
সংবাদ সম্মেলনে
এই তথ্য
জানিয়েছেন র্যাবের আইন
ও গণমাধ্যম
পরিচালক কমান্ডার
খন্দকার আল
মঈন।
র্যাব-৮
এর সদরদপ্তরে
আয়োজিত সংবাদ
সম্মেলনে তিনি
বলেন, গত
২০ নভেম্বর
সকাল থেকে
রাত ১০টার
মধ্যে বঙ্গোপসাগরের
৩০-৩৫
কিলোমিটার এলাকায়
(পাথরঘাটা, বরগুনা
ও পটুয়াখালীর
বলেশ্বর এবং
পায়রা মোহনা)
পর্যায়ক্রমে ৭টি
নৌকায় ডাকাতি
করে মোবাইলসহ
মূল মাঝিসহ
৭ জনকে
অপহরণ করে
জলদস্যু সদস্যরা।
এরপর অপহৃতদের
পরিবারের সদস্যদের
ভয়ভীতি দেখিয়ে
মোটা অংকের
মুক্তিপণ চায়
তারা। সেই
সঙ্গে লুণ্ঠিত
মাছসহ মালামাল
জলদস্যুদের মূল
সমন্বয়কারী মো.
খলিল জমাদ্দারের
মাধ্যমে মাছ
ব্যবসায়ীর কাছে
কম দামে
বিক্রি করে।
তিনি জানান, অপহরণ
করা মাঝিদের
একটি নৌকার
পাটাতনের নীচে
গাদাগাদি করে
দিনের বেলা
মোবাইল নেটওয়ার্কের
বাইরে আটকে
রাখে। আর
রাতে নেটওয়ার্কের
ভেতরে এসে
সমন্বয় ও
মুক্তিপণ দাবি
করতে থাকে
ডাকাত দলের
সদস্যরা।
এরপর ২৩ নভেম্বর
র্যাবের
তল্লাশি অভিযান
শুরুর খবর
পেয়ে জিম্মি
থাকা মাঝি-জেলেদের নৌকায়
রেখে জলদস্যুরা
চলে যায়।
এরপর কৌশলে
জলদস্যুরা অপপ্রচার
চালালে অপহৃতদের
ট্রলারকে ডাকাতদের
সন্দেহে ঘিরে
ফেলে হামলা
চালায় স্থানীয়
মাঝিরা। এ
সময় র্যাবের একটি
অভিযানিক দল
সেখানে পৌঁছালে
পরিস্থিতি স্বাভাবিক
হয় এবং
জিম্মি ওই
মাঝি-জেলেদের
উদ্ধার করা
হয়। এই
ঘটনায় পাথরঘাটা
থানায় দুটি
মামলা করা
হয়।
এদিকে র্যাব
গোয়েন্দা শাখা
ও র্যাব-৮ গত
৩০ নভেম্বর
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ
থেকে বঙ্গোপসাগরে
জেলে নৌকায়
ডাকাতি ও
মুক্তিপণ সংগ্রাহক
পটুয়াখালীর গলাচিপা
উপজেলার মো.
ইলিয়াস হোসেন
মৃধাকে (২৮)
আটক করে।
এ সময়
তার কাছ
থেকে মুক্তিপণের
৫ লক্ষাধিক
টাকা উদ্ধার
করা হয়।
পরে তার দেওয়া
তথ্যের ভিত্তিতে
শুক্রবার সকালে
পটুয়াখালীর গলাচিপা
উপজেলায় অভিযান
চালায় র্যাব-৮ এর
সদস্যরা। তারা
একটি পরিত্যাক্ত
বাড়ির চারপাশ
ঘিরে ফেললে
ডাকাত দলের
সদস্যদের সঙ্গে
গুলিবিনিময় হয়।
এ সময় কয়েকজন
পালিয়ে যেতে
পারলেও বরগুনার
তালতলী এলাকার
বাসিন্দা ও
জলদস্যুদলের মূল
সমন্বয়কারী মো.
খলিল জমাদ্দার
(৫০), পটুয়াখালীর
কলাপাড়া উপজেলার
মো. মাহাতাব
প্যাদা (৩৩),
মো. জামাল
আকন্দ (৩৬),
মো. মাছুম
ওরফে মানছুর
খলিফা (৪৬)
ও পটুয়াখালীর
গলাচিপা উপজেলার
মো. মিনাজ
খাঁকে অস্ত্রসহ
আটক করা
হয়। তারা
সবাই ডাকাতিতে
সক্রিয় অংশ
নিয়েছিল।
আটক ডাকাত সদস্যদের
পাথরঘাটা থানায়
হস্তান্তর করা
হবে জানান
র্যাবের
আইন ও
গণমাধ্যম শাখার
পরিচালক কমান্ডার
খন্দকার আল
মঈন।