ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের হট্টগোল

মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর | আপডেট: শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ২, ২০২৪

ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের হট্টগোল
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুলাল হোসেন (৪০) নামে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষীদের বিচার দাবী করে অবস্থান করেন রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা। তাদের দাবি চিকিৎসকের অবহেলার কারনেই ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ১২পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ হট্রগোলের চলে।

নিহত দুলাল হোসেন উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের রাজারামপুর ঘাটপাড়া গ্রামের মৃত মোস্তাব আলীর ছেলে,তিনি পেশায় ভ্যান চালক ছিলেন। 

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,বৃহস্পতিবার  সকাল সাড়ে ৭টায় মৃত দুলাল হোসেন কে  অসুস্থ অবস্থায় তার স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এসময় রোগীর স্বজনেরা চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ তোলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা হাসপাতালে জমায়েত হয়ে হট্টগোল শুরু করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্ত্বরে স্থানীয়রা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমানের অপসারণ, দায়িত্ব অবহেলাকারী ডাক্তার ও নার্সদের বিচার দাবিতে অবস্থান করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন এর হস্তক্ষেপে থানা পুলিশের সহযোগিতায় প্রায় তিনঘন্টা পর উদ্ভুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং স্বজনেরা মরদেহ বাড়ীতে নিয়ে যায়। 

নিহতের ছোট ভাই নূর আলম (৩৫) বলেন, হাসপাতালে আমার ভাইয়ের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হলে ডাক্তারকে ডেকেও পাওয়া যায় নি। তার অভিযোগ চিকিৎসকের অবহেলাতেই তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।

এবিষয়ে নার্সিং সুপারভাইজার বিলকিস বেগম বলেন, ভর্তির পর ডাক্তারের দেয়া প্রেস ক্রিপশন অনুযায়ী তাকে ওষুধ খাওয়ানো হয়। এর কিছু সময় পর হঠাৎ তার পরিস্থিতি খারাপ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। আমরা ধারনা করছি তার আগে থেকে হার্ডের সমস্যা ছিলো।

বিষয়টি নিয়ে কথা বললে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান জানান, জরুরী মিটিংয়ে বাহিরে আছি। ফিরে এসে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে কোন ত্রুটি থাকলে দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন বলেন, হট্টগোলের খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে আসি।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ফিরে আসলে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হবে।