Can't found in the image content. পিরোজপুরে শীতের দাপটে বিক্রি বেড়েছে পুরোনো শীতবস্ত্রের দোকানে | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বুধবার, জানুয়ারী ২৯, ২০২৫ |

EN

পিরোজপুরে শীতের দাপটে বিক্রি বেড়েছে পুরোনো শীতবস্ত্রের দোকানে

শাফিউল মিল্লাত, পিরোজপুর প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, জানুয়ারী ২১, ২০২৪

পিরোজপুরে শীতের দাপটে বিক্রি বেড়েছে পুরোনো শীতবস্ত্রের দোকানে
কথায় আছে মাঘের শীত বাঘের গায়ে তাই হটাৎ করেই শুরু হয়েছে শীতের তীব্রতা। দিনের শুরু হয় হালকা শীতের আমেজ নিয়ে। শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। শীতের কারণে সব শ্রেণির মানুষই এখন ভিড় করছেন শীতের কাপড়ের দোকানে। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেট গুলোতেও গরম কাপড়ের চাহিদা এখন তুঙ্গে। তবে ভিড় বেশি ফুটপাতের পুরোনো শীতবস্ত্রের দোকানেই। জমে উঠেছে এসব দোকানের বেচাকেনা।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে পিরোজপুর শহরের টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে, শহরের পুরাতন ঈদগাহ ময়দান, সাইকেল পট্টি ও শহিদ মিনারের সামনে ঘুরে দেখা যায়, শীতকে কেন্দ্র করে এসব এলাকায় সারি সারি পুরোনো শীতবস্ত্রের দোকান সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তীব্র শীতকে সামাল দিতে এখন থেকেই এসব দোকানে ভিড় জমিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এছাড়া পুরাতন বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতে ও ভ্যান গাড়িতে করে বাহারি রঙের শীতবস্ত্র নিয়ে পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। এসব দোকানেও দেদারসে বিক্রি হচ্ছে শীতবস্ত্র। তবে বিক্রেতাদের সঙ্গে দামদর করেই এসব পণ্য কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। বেশিরভাগ পোশাক বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে ৫’শ টাকার মধ্যে। এর মধ্যে শিশু ও নারীদের মোজা, কান টুপি এবং বড়দের সোয়েটার, জ্যাকেট রয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বেচাকেনা চললেও সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত দোকানগুলোতে ভিড় ছিলো প্রচুর।

বাজারের শপিংমল গুলো থেকে একটু কম দামে পাওয়ায় ক্রেতাদের থেকে ভাল সাড়া মিলছে বলে পুরোনো শীতবস্ত্রের মৌসুমি ব্যবসায়ীরা জানান।
ক্রেতারা বলছেন, ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ও মার্কেটের তুলনায় এসব দোকানে কম দামে কাপড় পাওয়া যায় বলে তারা এসব দোকানে কাপড় কিনতে আসছেন।

টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের দোকান গুলোতে ঘুরে ঘুরে গরম কাপড় কিনছেন আয়শা সিদ্দিকা। তিনি বলেন, এখানে মূলত বিভিন্ন শীতপ্রধান দেশের পুরোনো শীতের কাপড় পাওয়া যায়। কম দামে তুলনামূলক ভালো মানের কাপড় এগুলো তাই হটাৎ করে শীত বেশি হওয়ায় এখানেই চলে এলাম কাপড় কিনতে।

মো. রাসেল বেপারী নামে এক বিক্রেতা বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় বিক্রি বেশ বেড়েছে। গত বছরের মালামাল দিয়ে প্রথম অবস্থায় দোকান শুরু করলেও এবছর ক্রেতাদের চাহিদা বেশি হওয়ায় আরও মালের অর্ডার দিয়েছি। এবছর গতবছরের তুলনায় বেশি দাম দিয়ে মাল কিনতে হচ্ছে।

মো. সোহেল মোল্লা নামে এক ক্রেতা বলেন, মায়ের জন্য শীতের গরম কাপড় কিনেছি এখান থেকে। এখানে বেশ ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায়। দামও নাগালের মধ্যে থাকে তাই পরিবারের সবাই এখান থেকেই শীতের কাপড় কিনি।

মুহিদুল ইসলাম নামে এক বিক্রেতা বলেন, চট্টগ্রাম থেকে মান ভেদে ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে শীতের কাপড়ের লট কিনে আনি। মূলত তাইওয়ান, কোরিয়া এবং জাপান থেকে এসব লট আসে। বাচ্চা ও বড়দের কাপড় আলাদাভাবে পাওয়া যায়। লটগুলো খুলে বিক্রি করি। লটের দাম অনুযায়ী কাপড়ের দাম ধরা হয়।

শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভ্যানে করে শীতেরকাপড় বিক্রি করেন সোহাগ। তিনি বলেন, গত দুই দিন থেকে বেচাকেনা বেড়েছে। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা বেচাকেনা হচ্ছে। আমার কাছে ১০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। আমি এবছর প্রচুর পরিমাণ শীতের কাপড় নিয়ে ব্যবসা করছি আশা করি সামনের দিন গুলোতে বেচাকেনা আরো বাড়বে।

এদিকে শুধু শীতবস্ত্র নয়, কম্বলের দোকানেও ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে শহরের বিপনি বিতান গুলোর তুলনায় সড়কের পাশে গড়ে ওঠা পুরোনো কম্বলের দোকানগুলোতেই ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। বিভিন্ন দোকানগুলোতে পাতলা, ভারী বিভিন্ন ধরনের কম্বল বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। আকার ও মান ভেদে ৪ শত টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায় কম্বল বিক্রি হচ্ছে। তবে নিম্নবিত্ত মানুষের আগ্রহ পুরোনো কম্বলের দিকেই। মানভেদে এসব কম্বল বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ থেকে দুই হাজার টাকায় পাওয়া যায়।

শহরের শহীদ মিনারের সামনের পুরোনো দোকান থেকে কম্বল কিনতে এসেছিলেন আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, কোরিয়ান একটা কম্বল কিনতে চেয়েছি। দোকানদার আড়াই হাজার টাকা চেয়েছেন। আমি দেড় হাজার টাকা বলেছি। এই দামে দিলে কম্বলটি কিনে নেব।