একটানা ঘন কুয়াশা, কনকনে ঠাণ্ডা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে মানুষের অসুখ-বিসুখের পাশাপাশি পশুপাখি ও প্রাণিকূলেরও কাহিল অবস্থা। বিশেষ করে তীব্র ঠাণ্ডায় খামারগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে মরছে মুরগি।
রাজশাহী পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশানের নেতৃবৃন্দের দাবি— গত ২০ দিনে রাজশাহীতে বিভিন্ন খামারে মারা গেছে ৫০ হাজারের বেশি মুরগি। শীত ও ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন কারণে আক্রান্ত হচ্ছে মুরগি। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা সহ্য করতে না পেরে মুরগি মারা যাচ্ছে।
খামারিরা বলছেন, খামারগুলোতে বেশি পাওয়ারের বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালিয়েও পর্যাপ্ত তাপ দেওয়া যাচ্ছে না। হিমেল হাওয়া থেকে খামার রক্ষায় খামারগুলোর চারদিক মোটা পলিথিনে ঘিরে দিয়েও মুরগি রক্ষা করা যাচ্ছে না। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মুরগি মরে খামার উজাড় হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাজশাহী জেলাজুড়ে ৩০ হাজারের বেশি মুরগির খামার রয়েছে।
রাজশাহী পোলট্রি অ্যাসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন, রাজশাহী নগরীর আশপাশে ৫ হাজারের বেশি মুরগির খামার রয়েছে। বেশিরভাগ খামারে মূলত ব্রয়লার, লেয়ার, সোনালি মুরগি পালন করা হয়। এসব মুরগি নগরীর বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হয়।
খামারিরা আরও জানান, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে রাজশাহী অঞ্চলে চরম বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠাণ্ডায় খামারের মুরগিগুলো শীতজনিত রোগে দ্রুত আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্তের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুরগি মারা যাচ্ছে।
রাজশাহী প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা ড. জুলফিকার মো. আখতার হোসেন বলেন, প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে মুরগি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কিছু মুরগি মারাও যাচ্ছে। পোলট্রি মুরগির জন্য একটা ন্যূনতম তাপমাত্রা জরুরি। কিন্তু সূর্যের আলো নেই। এ ক্ষেত্রে বেশি পাওয়ারের বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালিয়ে তাপ দেওয়া দরকার। সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দিতে হবে। খামারে কোনো মুরগি আক্রান্ত হলে সেগুলোকে সুস্থ মুরগি থেকে আলাদা রাখতে হবে।