হাড়কাঁপানো কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দিনাজপুরসহ দেশের উত্তর জনপদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র শীতে কাঁপছে এই অঞ্চলের মানুষ। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। দিনাজপুরে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এদিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত থাকলেও তীব্র শীত উপেক্ষা করে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম চলছে যথারীতি।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, দিনাজপুরে গত বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
গত কয়েক দিন ধরে অব্যাহত তীব্র শীতের কারণে দিনাজপুরসহ এই অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে থাকায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির দিনাজপুর জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. লোকমান হাকিম জানান, তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য না থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা দ্বিধার মধ্যে পড়েছে। আঞ্চলিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং জেলা শিক্ষা অফিসও বিষয়টি পরিষ্কার করেননি।
তিনি বলেন, আবহাওয়া অফিস প্রতিদিন তাপমাত্রা রেকর্ড করেন সকাল ৯টায়। সকাল ৯টায় বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে রওনা দেন। এর পর বন্ধের নির্দেশনা এলে তা কীভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব? আগের দিন ঘোষণা না এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রাখা সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বিষয়টি জানার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছি। তবে সকালে প্রথম শিফটের শিক্ষার্থীরা চলে আসায় প্রথম শিফটের শ্রেণি কার্যক্রম চলেছে। দ্বিতীয় শিফটের শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শিফট চলে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় শিফট চলে দুপুর ১২টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত।
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শৈত্যপ্রবাহ ও তাপমাত্রা এ রকমই থাকলে এর পর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।