Can't found in the image content. রস চুরি ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

রস চুরি ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি | আপডেট: বুধবার, জানুয়ারী ১৭, ২০২৪

রস চুরি ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ

ফাইল ছবি

লোহার শিকল দিয়ে হাঁড়িতে তালা ঝুলিয়েও রক্ষা করতে পারছেন না খেজুর গাছের রসের হাঁড়ি। মানুষ তার মূল্যবান সম্পত্তি চোরেদের হাত থেকে রক্ষা করতে সচরাচর লোহার শিকল ও তালা ব্যবহার করেন এটাই স্বাভাবিক। তবে মাটির হাঁড়িতে তালা ব্যবহার করা হয় এমন বিষয় সত্যিই অবাক করার মতো। চোরেদের হাত থেকে রসের হাঁড়ি বাঁচাতে এমনই এক অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের এক গাছি। এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে তালাবদ্ধ রসের হাঁড়ি দেখতে ভিড় জমানো শুরু করছেন এলাকার উৎসুক জনতা। 

সরেজমিন দেখা যায়, গোসাইরহাট পৌরসভার উত্তর হাটুরিয়া মহিষকান্দি এলাকার বাসিন্দা হারুন সরদার (৫০)। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে শীত মৌসুমে খেজুর গাছ কেটে রস সংগ্রহ করে তা দিয়ে গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। চলতি বছর তিনি ৮০ থেকে ৯০টি খেজুর গাছ কেটে রস সংগ্রহ করে আসছেন। আর এসব গাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য প্রয়োজন হয় মাটির হাঁড়ি। যার একেকটির মূল্য প্রায় ১০০ টাকা। তবে চলতি বছর প্রতিরাতেই এসব গাছ থেকে হাঁড়িসহ রস চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। চোরদের হাত থেকে রসের হাঁড়ি বাঁচাতে গাছের গোড়ায় বিভিন্ন গাছের কাটা আর কয়েক দিন রাত জেগে পাহারা দেওয়ার পরেও সুরাহা না পাওয়ায় সিদ্ধান্ত নেন শিকল দিয়ে তালা লাগানোর বিষয়টি। যেমন ভাবা তেমন কাজ, পরে বাজার থেকে তালা আর শিকল কিনে গাছের সঙ্গে জুড়ে দেন তিনি। 

রনি নামে এক ব্যক্তি বলেন, এখন আর তেমন খেজুর গাছ দেখা যায় না। একটা সময় ছিল অল্প টাকায় খেজুর রস কিনে খাওয়া যেত। খেজুরের রসের দাম বেড়ে যাওয়ায় চোরেরা এখন রস চুরি করে নিয়ে যায়। তবে খেজুর গাছে হাঁড়ির সঙ্গে শিকল দিয়ে তালাবদ্ধ করতে এই প্রথম দেখলাম। ওনার বুদ্ধি দেখে বিষয়টি খুব ভালো লাগল। 

গাছি হারুন সরদার বলেন, এ মৌসুমে এলে আমি রস বেঁচে সংসার চালাই; কিন্তু চোরেরা প্রতিরাতেই আমার হাঁড়িসহ রস চুরি করে নিয়ে যায়। এতে আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলাম। প্রতিদিন গাছ কাটার পর গাছের গোড়ায় কাটা দিয়ে রাখলেও সেটা সরিয়ে ফেলে চোরেরা। পরে বাধ্য হয়ে চুরি ঠেকাতে বাজার থেকে শিকল আর তালা কিনে হাঁড়িতে দিয়ে রাখি।