হবিগঞ্জ রেঞ্জ ১ এর বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী বনবিটে চলছে অহরহ দুর্নীতি। বনবিট কর্মকর্তাসহ রেঞ্জ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার অফিস সিলেট সহ বন মন্ত্রনালয়, হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অসংখ্য অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
তাতে কারোর টনক নড়েনি। ফলে বিট কর্মকর্তা ও রেঞ্জ কর্মকর্তা স্থানীয় কিছু গাছ হরণকারী চক্র নিয়ে দেদারছে বানিজ্য সরগরম করে তুলেছে। এবার তাগিদ অভিযোগসহ আর ও একটি অভিযোগ যাচ্ছে বন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বন বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে।
এদিকে বিট কর্মকর্তা ও রেঞ্জ কর্মকর্তা অভিযোগের পাহাড় মাথায় নিয়ে হয়রানি করছেন উপকারভোগী নিরিহ মানুষদের। বনায়নে পরিশ্রম করে লাগানো গাছগুলো রেঞ্জ কর্মকর্তা শ্রমিক লাগিয়ে কর্তন করে অন্যত্র বিক্রি করে প্রতিশোধ নিচ্ছে ক্রমান্বয়ে। কিন্তু হয়রানি এবং দুর্নীতির বিষয় নিয়ে কেউ এগিয়ে আসেননি। ফলে সরকারি সম্পদ হরিলুট করে শুণ্য থেকে কোটিপ্রতি বনছেন কয়েক প্রভাবশালী ব্যক্তি।
জানা যায়,বাহুবল উপজেলায় অবস্থিত হবিগঞ্জ রেঞ্জের ১ বিট অফিস। ওই বিট অফিসের কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার চিহ্নিত গাছ চোর ও ব্যবসায়ীদের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে তুলে।
সখ্যতার আড়ালে সরকারি কোটি টাকার সম্পদ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অহরহ পাচার করা হচ্ছে। যেখানে বড় বড় গাছের বাগানের ছিল ভরপুর, সেখানে গাছের মুতা হাতেগোনা ছোট ছোট কিছু গাছ ব্যতিত চোখে পড়ার মত গাছ দেখা যায়নি।
উস্তার মিয়া নামে একজন উপকারভোগী জানান, রেঞ্জ কর্মকর্তার নির্দেশে আমার বাগানের গাছগুলো পুটিজুরী বন বিটের বিলিজার অর্জুন ও উপেনের মাধ্যমে শ্রমিক লাগিয়ে কর্তন করে চোরাই ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিয়ে অর্ধলক্ষাধিক টাকা গুনেন রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান,সরকারি সম্পদ হরিলুট সহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মিথ্যা মামলার হয়রানিসহ নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে। তাছাড়া অভিযোগের কোন একটির ও সঠিক বিচার পাওয়া যায়নি বলেও তারা মন্তব্য করেন।