দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার হয়েছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন। কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তার প্রচারণায় অভিনবত্ব রয়েছে। তিনি একদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তি চান, অন্যদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চান।
সোমবার সন্ধ্যায় পাকুন্দিয়া সদর ঈদগাহ মাঠে নির্বাচনি জনসভার মঞ্চে উঠে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন শুরুতেই ‘আমি খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।’ তাই আমার প্রধান দাবির সঙ্গে- মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই বলে স্লোগান ধরেন।
এরপরই বক্তব্যের মাঝে তিনি আরও বলেন, আমরা উন্নত বাংলাদেশ চাই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। মেজর আখতার বলেন, এখানে ট্রাক মার্কা স্বতন্ত্র প্রার্থী আপনাকে (শেখ হাসিনাকে) প্রমাণ করে দিবে আপনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববাসীর কাছে বলতে পারবেন, বাংলাদেশের অন্তত কটিয়াদী-পাকুন্দিয়াতে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। তারপরও যদি কারসাজি করেন, লাগবে আগুন ঘরে ঘরে। জনতার রায় শুনে যান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা জনতার রায়। ৭ জানুয়ারি আপনি সিদ্ধান্ত দিবেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কী হয় নাই। এই জনতার রায় পেয়ে গেছেন আপনি। এ রায় পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন না। পাকুন্দিয়ার জনগণ আজকে যে রায় দিয়েছে, সেই রায় যদি পরিবর্তন করেন, সর্বনাশ ডেকে আনবেন আপনার।
এ নির্বাচনি জনসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদ সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মকবুল হোসেন, বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল হুদা রুবেল, হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাদীউল ইসলাম হাদী, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এগারসিন্দুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বাবু, চন্ডিপাশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা শামসুদ্দিন, জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা বুলবুল আহমেদ, চরফরদি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. এখলাস উদ্দিন, পুলেরঘাট বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম জাফরুল প্রমুখ।