Can't found in the image content. গাইবান্ধার বিভিন্ন গ্রামে শিয়ালের আতঙ্কে গ্রামবাসী | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

গাইবান্ধার বিভিন্ন গ্রামে শিয়ালের আতঙ্কে গ্রামবাসী

বিশেষ প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩

গাইবান্ধার বিভিন্ন গ্রামে শিয়ালের আতঙ্কে গ্রামবাসী
গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন এলাকায় শিয়ালের অবাধ বিচরণ লক্ষ করা যাচ্ছে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত হলে এদের আক্রমণে মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেই সাথে গৃহপালিত ছাগল ও হাঁস-মুরগি ধরে খেয়ে ফেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অনেকে।

ইতোমধ্যেই সদরের ঘাগোয়া ইউনিয়নের টেংঙ্গরজান নামক স্থানে মমতাজ বেগম (৫০) নামের এক মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রা তাঁর শরীরের অবস্থা দেখে ধারনা করেছেন তাকে শিয়ালে আক্রমণ করে খেয়েছে। পরিচিতরা বলেন, প্রতিদিনই তিনি বিলের দিকে যান বাড়ির ঠিক কাছে হওয়াতে। সন্ধ্যার পরে সেদিনই তিনি গিয়েছিলেন পরেরদিন তাঁর ক্ষত -বিক্ষত লাশ পাওয়া যায় পুকুর পাড়ে।

একই ইউনিয়ানের মধুপুর গ্রামের কৃষক রশিদুল ইসলাম বলেন, আমার বাড়ির পিছনেই বাঁশঝাড় ও ফসলি মাঠ। হাঁস-মুরগী পালন করে যে অতিরিক্ত আয় আমার পরিবারে আসে সেটা হুমকির মুখে। গতকাল রাতে আমার বউয়ের পালিত বড় হাঁসটা শিয়াল নিয়ে গেছে। সন্ধ্যা হলেই শিয়ালের ডাকাডাকিতে বাচ্চাগুলোও অনেক ভয় পেয়ে থাকে। 


সরেজমিনে দেখা যায়, রাতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের পথঘাট, বাড়ির উঠান ও আশপাশে অবাধে ঘোরাফেরা করছে বিশালাকৃতির শিয়ালের দল। কুকুরের মতো দেখতে এ শিয়ালগুলো ইতোমধ্যে শতাধিক মানুষকে আক্রমণ করেছে।

সরকারপাড়া গ্রামের গৃহবধূ জাহানুর বেগম বলেন, দেশী হাঁস-মুরগি পালন করে যেটুকু আয় হয়, তা দিয়ে সংসারে আর্থিক সহযোগিতা করে থাকি। শিয়াল এরই মধ্যে রাতে আমার খোঁয়াড়ের তিনটি মুরগি ধরে নিয়ে গেছে। 

একই গ্রামের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নয়ন বলেন, সকালে গেছি বেগুন ক্ষেত থেকে বেগুন ছিঁড়তে। আমি যাওয়ার সাথে সাথে আমাদের বেগুন চাষের জমি থেকে শিয়াল বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় আরেকপাশে ভুট্টা ক্ষেতে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন বলেন, এমনিতে মানুষের ওপর শিয়াল আক্রমণ করে না। তবে জলাতঙ্ক রোগ হলে এদের চলাফেরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এ ছাড়া উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে লোকালয়ে বিচরণ করে শিয়াল।

বিশেষ প্রতিবেদক- লিয়ন সরকার।