Can't found in the image content. মুক্তিযোদ্ধার বসতঘর নির্মানে বাঁধা, ১৪৪ ধারা জারি | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

মুক্তিযোদ্ধার বসতঘর নির্মানে বাঁধা, ১৪৪ ধারা জারি

দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, নভেম্বর ২৯, ২০২১

মুক্তিযোদ্ধার বসতঘর নির্মানে বাঁধা, ১৪৪ ধারা জারি
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধার বসত ঘর নির্মাণে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিবেশী প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। ফলে ছোট একটি ঘরে স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে একাত্তরের বীর সৈনিক মুক্তিযোদ্ধা হারুন মোল্লা। বাধা দিয়েই খান্ত না হয়েও উল্টো মামলা করে ১৪৪ ধারাও জারি করিয়েছেন প্রভাবশালী সিরাজ মোল্লা। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন মোল্লা বলেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের বিআরএস ৩৪৩ খতিয়ানের ৯৯৭ দাগের ৩০ শতাংশ জায়গা আমার দাদার রেকর্ডিও সম্পত্তি। ওই সম্পত্তির মোট পাঁচজন ভাগীদার ৬ শতাংশ করে জায়গা পাবে। সেই হিসাবে আমরা দুই ভাই ৩ শতাংশ করে মোট ৬ শতাংশ জায়গা ভোগ করছিলাম। আমার আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় দীর্ঘদিন স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের নিয়ে কুঁড়ে ঘরে থেকেছি। মেয়েদের বিয়ে হওয়ার পর আমাদের কষ্ট দেখে মেয়েরা একটি পাকা ঘর করে দিতে চায়। তখন কুড়ে ঘরটি ভেঙে ঐ ৩শতাংশ জায়গায় দালান ঘর নির্মাণ করতে গেলে প্রতিবেশী সিরাজ মোল্লা বাঁধা দেয়। পরে গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আমাকে ঘর করার অনুমতি দিলেও সিরাজ মোল্লা মেনে নেয়নি। আমি যাতে ঘর নির্মাণ না করতে পারি এইজন্য সে বাদী হয়ে আদালতে মামলা করে ১৪৪ ধারা জারি করিয়েছেন। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন মোল্লা আরো বলেন, দীর্ঘদিন যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি কিন্তু শেষ বয়সে একটা ঘর করতে পারছিনা। থানা সহ গ্রামের চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে বিচার চেয়েও কোন বিচার পাচ্ছিনা। বর্তমানে আমার চাচাতো ভাইদের বাড়িতে বসবাস করছি। শেষ বয়সে একটু পাকা ঘরে থাকতে পারি প্রশাসনের কাছে সেই দাবি জানাই।

পূর্বে সালিশে উপস্থিত থাকা এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সিরাজ মোল্লার আরো একটি বাড়ি তৈরি করার জন্য ঐ বীর মুক্তিযোদ্ধার জায়গাটুকু প্রয়োজন। যদি মুক্তিযোদ্ধা হারুন মোল্লা ওই জায়গায় দালান ঘর নির্মাণ করে তাহলে তারা পরবর্তীতে আর বাড়ি করতে পারবেনা ও তাদের পজিশন নষ্ট হয়ে যাবে। সেই জন্য বর্তমানে সিরাজ মোল্লা মামলা করে ১৪৪ ধারা জারি করিয়েছেন। পরবর্তীতে যাতে সে ঘর নির্মান করতে না পারে তাই আরেক শরিক শাহজাহান মোল্লা কে দিয়ে মামলা ইতিমধ্যে তৈরি করে রেখেছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিরাজ মোল্লা বলেন, হারুন মোল্লা ৩ শতাংশ জায়গা পাবে। কিন্তু তিনি আমার ঘরের সামনে ঘর নির্মাণ করলে আমাদের চলার পথ থাকবে না। তাই আদালতে মামলা করেছি। এছাড়া নির্বাচনের পরে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বৈঠকের কথা বলেছেন। তারা যে রায় দেবে আমি সেটাই মেনে নেব।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন,  আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। তদন্ত করে বিধি মোবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।