ইটালীতে বসবাসকারী রোমানিয়ার কন্যা সিমনা তার পাঁচ বছরের একমাত্র পুত্র দাবিদকে নিয়ে বধূ হিসেবে তার স্বামী নাসির মাতুব্বরের সাথে আমতলীতে এসেছেন। তাকে এক নজর দেখতে বরগুনার আমতলী পৌরশহরের কালীবাড়ী এলাকায় শত শত মানুষের ভীর করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বজনদের দেখতে হেলিকপ্টারে চেপে বধূ ও পুত্র সন্তান নিয়ে আমতলী পৌরসভা কার্যালয় সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে অবতরণ করলে শত শত উৎসুক জনতা তাদের দেখতে ভীর জমায়। আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্খীদের উষ্ম অভ্যার্থনায় অভিভূত হয়ে রোমানিয়ার কন্যা, আমতলীর বধূ সিমনা উৎসক জনতাকে হাত নেরে অভিভাদন জানান।
জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের কালিবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সোনা মাতুব্বরের ছেলে নাসির মাতুব্বর ২০ বছর পূর্বে ২০০৩ সালে কাজের সন্ধানে ইটালীর উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। জীবন বাজি রেখে চার বছরে তিনি ৬টি দেশ পাড়ি দিয়ে ২০০৭ সালে ইটালী পৌছান। ওইখানে তিনি বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে পার্শ্ববর্তী রোমানিয়ার বাসিন্দা সিমনার সঙ্গে তার দেখা ও পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মন দেয়া-নেয়া মুরু হলে। চুকিয়ে চার বছর প্রেম করে ২০১৩ সালে তাদের প্রেমের পরিনয় সূত্রে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ভালোই কাটছে তাদের দাম্পত্য জীবন। ২০১৮ সালে ওই দম্পতির কোল জুড়ে দাবিদ নামের এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
ইটালী প্রবাসী নাসির মাতুব্বর বলেন, ৪টি বছর জীবন বাজি রেখে ৬টি দেশ পাড়ি দিয়ে ইটালী গিয়েছি। ওইখানে কাজের সুবাদে সিমনার সঙ্গে দেখা, প্রেম, তারপর প্রনয়। আমরা এখন ভালোই আছি। স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে হেলিকপ্টারে বধূ ও ছেলেকে নিয়ে এসেছি। অল্প দিনের মধ্যেই আবার চলে যাব। প্রবাসী নাসির বর্তমানে ইটালীতে তৈরী পোশাকের ব্যবসা করেছেন।
রোমানিয়া কন্যা আমতলীর বধূ সিমনা বাংলায় কথা বলতে পারেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের সন্তান নিয়ে খুব সুখে ও ভালোই আছি। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু মুঠোফোনে বলেন, প্রবাসী দম্পতি আমতলী এসে পৌছেছেন। তাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।