কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাবের অভিযানে ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদককারবারী চক্রের ৩ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে।
সোমবার সকাল ১১টায় (১৮ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ল এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী।
জানা যায় মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা নজরদারির দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছিল।পরে তাদের গোপন খবর আসে টেকনাফ থেকে সিএনজি যোগে একটি চক্র বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে কক্সবাজারের দিকে আসছে।সে খবরে গতকাল (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে র্যাব-১৫ এর সিপিএসসি'র একটি আভিযানিক দল টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোড়া এলাকার জাদি পাহাড়ের প্রধান গেইটের সামনে টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কের উপর একটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।র্যাবের আভিযানিক দল চেকপোষ্টে তল্লাশী অভিযানের একপর্যায়ে একটি সিএনজি তল্লাশীকালে সিএনজিতে যাত্রীবেশে থাকা ৩ জন যাত্রীর গতিবিধি সন্দেজনক হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের গাড়ি গতিরোধ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদেরকে রোহিঙ্গা নাগরিক বলে স্বীকার করে এবং তাদের কাছে ইয়াবা রয়েছে বলে জানায়। পরবর্তীতে তাদের দেহ ও সাথে থাকা পলিব্যাগ তল্লাশী করে সর্বমোট ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে এবং ০২টি এন্ড্রয়েট মোবাইল, ০১টি বাটন ফোন, ০৫টি সীম কার্ড ও নগদ ৩,১০০ টাকা জব্দ করা হয়।
আটককৃত ব্যাক্তিরা হলেন জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২৭ ব্লক এ/৪ মৃত মীর আহমেদের ছেলে কামাল হোসেন (২৪),ব্লক এ/৫ রশীদ আহমেদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক(৩৭) ও মৃত নজীর হোসেনের ছেলে কামাল হোসেন(২৮)।
জিজ্ঞেসাবাদে তারা আরও জানায় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা কেনা-বেচা চক্রের আরও এক রোহিঙ্গাসহ তিনজন ব্যাক্তি পালাতে সক্ষম হয়।চক্রটি মিয়ানমারের নাগরিক হওয়ায় নিজ দেশের বিভিন্ন এলাকা ও সেখানকার পরিস্থিতি ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করায় এখানকার পরিবেশ সম্পর্কে তারা ধারণা লাভ করে। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আটককৃত মাদক কারবারী চক্রটি স্থানীয় মাদক কারবারীদের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাচার করে আসছিল। পলাতক অজ্ঞাত মাদককারবারিদের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা সংগ্রহসহ গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।এছাড়া আটককৃত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।