কক্সবাজারের রামু উপজেলায় একটি লবণ বোঝাই ট্রাক থেকে মাদক ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করা হয়েছে ৩০ বিজিবির সদস্যরা। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৯০ কোটি টাকা। মূলত মাদকগুলো নারায়ণগঞ্জে পাচারের উদ্দ্যেশে বহন করা হচ্ছিল।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির রামু-৩০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান তানজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন
আটককৃত ব্যাক্তিরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালিয়া পাড়ার আজিজুর রহমানের ছেলে মো. কেফায়েত উল্লাহ (৩৮) ও টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালিয়া পাড়ার আবু বকরের ছেলে মো. হারুন (২৩)।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি কর্মকর্তা বলেন বৃহস্পতিবার গভীর রাতে টেকনাফ থেকে মাদকের বড় চালান আসার খবরে রামুর মরিচ্যা চেকপোস্টে তল্লাশি করা হয়। এক পর্যায়ে টেকনাফের দিক থেকে আসা লবণ বোঝাই একটি ট্রাক থামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ সময় ট্রাকটির চালক ও তার পাশে থাকা আরেক ব্যক্তির আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তারা মাদক পরিবহনের কথা অস্বীকার করেন।"
পরে ট্রাকটিতে তল্লাশি করা হলে লবণের একটি বস্তার ভেতরে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় ১৮ কেজি ২০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস পাওয়া যায় বলে জানান কর্নেল ওয়াহিদুজ্জামান।
তিনি আরও জানান পরে দুইজনকে আটক করা হলে তাদের কাছ থেকে নগদ ৩ লাখ ৩৬ হাজার ২০ টাকা, ১টি বিদেশি মদের বোতল, ১টি ছোরা এবং ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আর যে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে, তার আনুমানিক বাজার মূল্য ৯০ কোটি টাকার বেশি।
বিজিবির এই কর্মকর্তা আরও জানান প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে জানা যায় মাদকের এ চালানের মূলহোতা টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ডেইল্যারবিল এলাকার কালা মিয়ার ছেলে আমির হোসাইনের। তাকে আটক করতে টেকনাফের সাবরাংয়ে ব্যাপক অভিযান চালানো হয়।
পরে আমরা খবর পাই, সে পালিয়ে গেছে। তবে তার বাড়িতে তল্লাশি করে পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়েছে।
ওয়াহিদুজ্জামান আরও বলেন, "মাদকগুলো সীমান্তের কোন পথ দিয়ে, কিভাবে পাচার করে আনা হয়েছে এবং কোথায় মজুদ রাখা হয়েছিল, এ ব্যাপারে আটকদের কাছ থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে রামু থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে