কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। হিমাংকের পারদ নেমেছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রিতে। ফলে শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে গোটা জনপদ। দুপুর পর্যন্ত দেখা মিলছে না সূর্যের।
এ অবস্থায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও ঠাণ্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছেন না তারা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠাণ্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতকষ্টে পড়েছেন নদনদী তীরবর্তী চরের বাসিন্দারা।
বুধবার সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২ সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি থেকে ১৮ সেলসিয়াসে ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের দিনমজুর নামদেল আলী বলেন, কয়েক দিন থেকে খুব শীত। মাঠে কাজ করতে সমস্যা হয়। এখনো কেউ আমাকে কম্বল দেয়নি। কম্বলের খুব দরকার বর্তমানে।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গফুর বলেন, আমার ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকায় নদী ও চরাঞ্চল। সবচেয়ে শীত অনুভূত হয় এখানে। সরকারিভাবে এখনো কোনো শীতবস্ত্র পাইনি। শীতবস্ত্র পেলে বিতরণ করা হবে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, জেলার ৯ উপজেলায় হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে সরকারিভাবে ৪৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তা বিতরণ করা হচ্ছে। আরও বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।