ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, অক্টোবর ২২, ২০২৪ |

EN

বরগুনায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননা

বরগুনা প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, নভেম্বর ২০, ২০২৩

বরগুনায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননা
বরগুনা সদর উপজেলা ৪ নং কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নে উত্তর শিংড়াবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র ছবি অবমাননা করা হয়েছে। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে স্কুল পরিদর্শন করে দেখা যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র ছবি একটি ক্লাস রুমে নোংরা অবস্থায় এলোমেলো ভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে যা সম্পুর্ন বেআইনি। 

স্কুল বা অফিস কক্ষে প্রধান শিক্ষক এর পিছন বরাবর দেয়ালে সঠিক ভাবে ছবি টানানোর নিয়ম রয়েছে কিন্তু ওই স্কুলের অফিস কক্ষে দেখা যায় প্রধান শিক্ষক এর ডান দিকে ছবি টানিয়ে প্রধান মন্ত্রী'র ছবিটি একটি সাউন্ডবক্স দিয়ে ডেকে রাখা হয়েছে। এ সময় এক সাংবাদিক ছবি তুলতে গেলে ছবির সামনে থেকে সাউন্ড বক্স সরিয়ে ফেলা হয়।

বিধি অনুযায়ী দেশের সকল সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি টাঙিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এমন নির্দেশনা উপেক্ষা করে গুরুত্বপূর্ণ এ ছবি দুটো অবমাননাকর অবস্থায় ও অযত্ন-অবহেলায় ক্লাস রুমে টানিয়ে রাখার চিত্র দেখা যায়।

ক্লাসরুমে অবমাননা করে ছবি রাখার বিষয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান  বলেন, এগুলো পুরানো ছবি, অনেক আগে থেকেই টানানো ছিলো তাই হয়তো ময়লা পরে আছে। 

বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির ক্রয় উপ-কমিটির আহবায়ক ও কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ সাইফুল ইসলাম সোহেল বলেন, "জাতির পিতার ভাবমূর্তি ও সম্মান রক্ষার দায়িত্ব দেশের সব জনগণের।" তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ৪ (ক) অনুচ্ছেদে জাতির পিতার ছবি সংরক্ষণ এবং প্রদর্শনের কথা বলা আছে। সেটা অবমাননা করা যাবে না। ৭ (ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কেউ যদি সংবিধানের কোন অংশ বা অনুচ্ছেদ অসম্মান করার চেষ্টা করে তাহলে সে  রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধে দোষী হইবে।"

বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ১৮৬০ সালের আইনের ধারা ১২৪ (ক) ধারা মতে, কোন ব্যক্তি যদি লিখিত বা উচ্চারিত কথা বা উক্তি দ্বারা অথবা চিহ্নাদি দ্বারা অথবা দৃশ্যমান কোন প্রতীকের সহায়তায় অথবা অপর কোনভাবে বাংলাদেশের আইনানুসারে বৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রতি ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা করার চেষ্টা করে অথবা বৈরিতা উদ্রেক করে বা করার চেষ্টা করে, সে রাষ্ট্রদ্রোহিতা করছে বলে গণ্য বিবেচিত হবে। রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন অথবা তিন বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে যার সাথে অর্থদণ্ড যোগ করা যাবে।
সুতরাং বঙ্গবন্ধু’র অবমাননাকারী যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

বরগুনা জেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ বলেন, এটা ঘৃণিত কাজ, অবমাননাকারীর অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত। 

বরগুনা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক, বরগুনা জেলা চেম্বার অপ কমার্সের সভাপতি ও বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবমাননাকারী সে যে ই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবে না, তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল মুকিত মোল্লা বলেন, কেউ যদি জাতির পিতার ছবি অবমাননা করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।