ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল প্রতিষ্ঠা বিরোধী মেয়র আব্বাসকে গ্রেপ্তারের দাবি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৫, ২০২১

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল প্রতিষ্ঠা বিরোধী মেয়র আব্বাসকে গ্রেপ্তারের দাবি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে নিয়ে অশ্লিল মন্তব্য করার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠছে রাজশাহী রাজনীতি। অধর্তব্য মন্তব্যকারী কাটাখালি পৌরসভার মেয়রকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার সকাল থেকেই রাজশাহী মহনাগর এবং কাটাকালি পৌর এলাকাতেও নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

 

আজ বুধবার সকালে রাজশাহী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ব্যানারে নগরীর জিরোপয়েন্টে মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে আইনগগত ব্যবস্থা নেওয়া ও তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন প্রমাণিক প্রমুখ।

 

এদিকে কাটাখালিতে মেয়র আব্বাসকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

 

অপরদিকে মেয়র আব্বাস এর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নগরের রাজপাড়া, বোয়ালিয়া ও চন্দ্রিমা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।

 

বোয়ালিয়া থানায় দায়ের করা মামলায় বাদী হয়েছেন, রাজশাহী নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৩নং কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন। এ ছাড়া চন্দ্রিমা থানায় দায়ের করা মামলার বাদী নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমান এবং রাজপাড়া থানায় ১৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।

 

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজাহারুল ইসলাম, বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন থানায় মামলা রেকর্ডের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

 

প্রসঙ্গত, রাজশাহীর পৌরসভার মেয়র আব্বাস একটি ঘোরায় বৈঠকে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের কাটাখালি পৌরসভার অংশের উন্নয়নকাজ নিয়ে কথা বলার সময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করেন। এসময় তিনি বলেন,তখন মেয়র বলেন, ‘একটু থাইমি গেছি গেটটা নিয়ে, একটু ডিজাইন চেঞ্জ করতে হচ্ছে। বড় হুজুরের সঙ্গে আমাদের এক লোক বসেছিলে, বসি যে ম্যুরালটা দিছে বঙ্গবন্ধুর, এটা ইসলামী শরীয়াহত মোতাবেক সঠিক না। এ জন্য আমি ওকে থুব না। সব করবো, যা কিছু আছে, খালি শেষ মাথাতে মানুষ যেটা মাইন্ড করবে না ওড্যাই। আমি দেখতে পাছি যে, ম্যুরালটি ঠিক হবে না দিলে। আমার পাপ হবে। তো কেন দিব? দিব না, আমি তো কানা লোক না, আমাক বুঝাই দিছে। এ জন্য আমি ওটাকে চেঞ্জ করছি।

 

গত সোমবার রাত থেকে মেয়র আব্বাসের এমন অধর্তব্য দুটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জারে। এরই মধ্যে দাবি উঠেছে গাজিপুরের মেয়রের মতো কাটাখালি পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার।