Can't found in the image content.
নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বুধবার, নভেম্বর ২৪, ২০২১
সদ্য
আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র
জাহাঙ্গীর আলম কি স্বেচ্ছায়
পদত্যাগ করবেন? গত শুক্রবার আওয়ামী
লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে তাকে দল থেকে
বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপরও তিনি
মেয়র হিসেবে বহাল আছেন। বর্তমানে
সিটি কর্পোরেশন আইন অনুযায়ী দল
থেকে বহিষ্কৃত হলে মেয়র পদে
তার থাকা না থাকার
কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ
এই আইনটি সংসদ সদস্যের আইনের
মতো নয়। সংসদ সদস্য
হিসেবে কেউ যে দলীয়
প্রতীকে অংশগ্রহণ করেন সেই দল
থেকে যদি তাকে বহিষ্কার
করা হয় তাহলে তিনি
সংসদ সদস্য থাকতে পারেন না। কিন্তু স্থানীয়
সরকারের নিয়মে যোগ্যতা ও অযোগ্যতার সংশ্লিষ্ট
ধারায় এ ধরনের কোনো
বিধান নেই। তাহলে কিভাবে
অপসারিত হতে পারেন মেয়র
জাহাঙ্গীর। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আইনগত বিভিন্ন দিক বিচার বিশ্লেষণ
করে দেখছেন। তারা বলছেন যে
জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে অপসারণ
করা যেতে পারে,
১.
আইন সংশোধন করে: যেহেতু স্থানীয়
সরকারের নির্বাচন হয় দলীয় প্রতীকে,
কাজেই একজন ব্যক্তি যদি
দলীয় নেতা থাকেন দল
থেকে যদি তিনি বহিষ্কৃত
হন তাহলে তার মেয়র পদের
থাকার যোগ্যতাই থাকেনা এবং এটি একটি
স্বতঃসিদ্ধ সাধারণ নিয়ম। আর এটি অনুসরণ
করার জন্য আইনে কিছু
সংশোধন করা প্রয়োজন এবং
সরকার চাইলে যেকোনো সময় আইনের সংশোধন
করতে পারেন।
২.
জাহাঙ্গীর যে অভিযোগে অভিযুক্ত
হয়েছেন সেই অভিযোগের কারণে
তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হতে
পারে এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা
হতে পারে। এ ধরনের মামলায়
যদি তিনি গ্রেফতার হন
তাহলে পরে তাকে পদ
থেকে অপসারণ করার ক্ষেত্রে কোনো
আইনগত সমস্যা থাকে না।
প্রশ্ন
উঠেছে যে সরকারই এই
দুটি মধ্যে কোনটি কোন পথে যাবে।
দুটি পথ এর বাইরেও
সরকার তৃতীয় চিন্তা করছে বলে জানা
গেছে। সরকার মনে করছে যেহেতু
জাহাঙ্গীর দল থেকে বহিষ্কৃত
হয়েছেন সেহেতু তার নৈতিক অবস্থান
থাকেনা মেয়র হওয়ার জন্য।
আইনে যাই থাকুক না
কেন এখন জাহাঙ্গীরের উচিত
নিজে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা। একাধিক দায়িত্বশীল
সূত্র বলছে যে জাহাঙ্গীর
যেনো মেয়র পদে না
থাকেন এজন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেই একটি
বার্তা দেয়া হয়েছে তাকে এবং জাহাঙ্গীর
সেই বার্তাটি বিবেচনা করতে পারেন বলে
জানা গেছে। একটি সূত্র বলছে
জাহাঙ্গীর তার বহিষ্কারাদেশ একটু
নমনীয় করার জন্য আবেদন
করেছেন। তিনি বলেছেন যে
আওয়ামী লীগের একজন প্রাথমিক সদস্য
হিসেবে রাখার জন্য, যেনো তিনি ভবিষ্যতে
রাজনীতিটা করতে পারেন। সরকারের
একাধিক সূত্র বলছে যে জাহাঙ্গীরের
বিষয়টি সরাসরি আওয়ামী লীগ সভাপতি দেখেছেন।
কাজেই এ ব্যাপারে চূড়ান্তভাবে
কি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সেটি করতে
পারেন একমাত্র আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। এখানে বার্গেনিং এর কোনো সুযোগ
নেই বলেই আওয়ামী লীগের
নেতারা মনে করছেন।
তবে
জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাপারে যারা খোঁজ-খবর
রাখছেন তারা বলছেন যে
জাহাঙ্গীর একটা সম্মানজনক সমাধান
খুঁজছেন। যে সম্মানজনক সমাধানে
রয়েছে যে তিনি মেয়র
পদ থেকে পদত্যাগ করবেন।
অন্যদিকে তাকে দলের প্রাথমিক
সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এখানে কেউ
কেউ বলছেন যে জাহাঙ্গীর যদি
স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন তাহলে কিছুদিন
পরে হয়ত তার প্রাথমিক
সদস্যপদ ফেরত দেওয়া হতে
পারে, তবে কোন বিনিময়
প্রথায় কোন কোন কিছু
হবে না। শেষ পর্যন্ত
জাহাঙ্গীরকে বরখাস্ত করা হবে নাকি
তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন অথবা নাটকীয় ভাবে
তিনি মেয়র পদে বাকিটা সময়
বহাল থাকবেন এটি বোঝা যাবে
আর দু-একদিনের মধ্যে।