সিলেটের জনপ্রিয় ফেসবুক পেইজ অনলাইন ৫২ টেলিভিশনের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। ওসমানীনগর থানার চানপুর গ্রামের মোহাম্মদ আব্দুল একিম ওরফে আব্দুল হেকিমের ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল গণি (৪৪), ২ (অক্টোবর) ২০২৩ইং বাদী হয়ে সিলেট সাইবার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ইং এর ২৫(ক),২৭(ক),২৯,৩১(১),৩৩,৩৬ ধারায় ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং (১৯৬/২৩)।
মামলার আসামী হলেন নিজ পিতা আব্দুল মোহাম্মদ আব্দুল একিম সহ আরও তিন সাংবাদিক।
বাদীর মামলার সুত্রে জানা যায়, তিনি বছরের অর্ধেক সময় দেশের বাহিরে প্রবাসে থাকেন তার পিতার ৪র্থ স্ত্রীর ছেলে- মেয়ে সহ অন্যান্যরা তার সম্পতি দখল ও গ্রামের বাড়িতে যেতে যেন না পারে সে বিষয়ে কয়েকজন ফেসবকু লাইভ ধারী হলুদ সাংবাদিকদের দ্বারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, কুৎসা রটনা এবং সংবাদ সম্মেলন করে যাহা মিথ্যা বিভিন্ন অনলাইন ফেসবুক ফেইজ ও ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ সম্প্রচার করে মান হানি ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন তার পিতা প্রধান আসামী মোহাম্মদ আব্দুল একিম বিগত ২০ ডিসেম্বর ২০২১ ইং ঘটনাটিকে নতুন ভাবে পুণরাবৃত্তি করে ওসমানীনগর উপজেলা অনলাইন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে অনিবন্ধীত ফেসবুক পেইজ ৫২ টেলিভিশনে নামের কথিত সংবাদিক মলয় চক্রবর্তি লাইভ করেন, যার হেড লাইন ব্যবহার করেন (সম্পদের জন্য সন্তান হত্যা করতে চায় পিতাকে) যাহা সম্পূর্ণ কাল্পনিক ভাবে আব্দুল গণিকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
নিজ পিতা মোহাম্মদ আব্দুল একিম এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মামলার বাদী আব্দুল গণি আরও উল্লেখ করেন তার পিতা ৪টি বিবাহ করেছেন বাবা মায়ের সব সন্তান মিলে মোট ১৫ জন পরিবারের সদস্য রয়েছেন। প্রথম স্ত্রীর ছেলে আব্দুল কালাম ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মলেন করে তিনি জানান তার পিতা নাকি পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মলন করে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থান করেছন। এর পেছনে পেছনে দূরভীসন্ধিমূলক উদ্দেশ্যে রযেছে। যাহা তারে পরিবারের মান সম্মান হানি ঘটছে।
পারিবাকি বিষয়ে এসব অপপ্রাচারে জন্য মামলা বাদী আব্দুল গণি দায়ী করেন স্থানীয় অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকদের। তার পিতার সঙ্গে একজোট হয়ের অর্থের লোভে পরিকল্পিত ভাবে পারিবারিক সম্মান হানী ও কুৎসা রটনোর মাধ্যমে স্থানীয় জণগণের মাঝে অন্তুষ, বিশৃংখলা করে অনলাইন মিডিয় অপ্রচার করে আমাদের পারিবারিক ভাবে বিদ্বেষ শুত্রুতা সৃষ্টি করেছেন। বিষয়টি আব্দুল গণির দৃষ্টি কোচর হলে তিনি সাইবার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
এ দিকে আরোও অভিযোগ করেন ফেসবুক পেইজ ৫২ টেলিভিশনে নামে দীর্ঘ দিন ধরে কিছু হলুদ সাংবাদিকরা সাধারণ মানুষের মাঝে নানা ধরেন অপ্রচাররে লিপ্ত রয়েছেন তারা অনলাইন লাইভের নামে ফেসবুক পেইজ খুলে লক্ষ লক্ষ টাকা বাণিজ্য করে যাচ্ছেন। যাহা সাংবাদিকতার নীতি পরিপন্থী হিসেবে কাজ করছে ফেসবুক পেইজ ৫২ টেলিভিশনের সাংবাদিকরা।
মামলার অভিযোগে ফেসবুক পেইজ ৫২ টেলিভিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নূরুদ্দীন রাসেল নাম উল্লেখ করে আসামী করা হলে, তিনি তার এক বক্তব্যে জানান, আমি ৫২ টেলিভিশনের কোন চেয়ারম্যান বা সংবাদকর্মী নয়, এটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন রজত চক্রবর্তী, আমাকে হয়রাণী করার জন্য একটি কুচক্রী মহল এ মামলায় ষড়যন্ত্র করে জড়ানো হয়েছে।