সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ক্বিন ব্রিজ বন্দের পর থেকে দেখা দিয়েছে প্রতিনিয়ত সিলেট শহরে অসহনীয় যানজট। বিশেষ করে সিলেটে শহরের সাথে সংযুক্ত হুমায়ুন চত্বর থেকে শাহ্ জালাল ব্রিজ হয়ে নগরীর বন্দর বাজার পর্যন্ত তিব্র যানজট লেগে থাকে।
তার মধ্যে অন্যতম যানজট লেগে থাকে সোবহানীঘাট পয়েন্ট ইবনে সিনা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায়। ক্বিন ব্রিজের পর ওই ব্রিজটি শহরের প্রবেশের জন্য দক্ষিণ সুরমা এলাকা হয়ে সহজ হয়ে শহরের ঢোকার চাপ বেড়ে যাওয়াতে যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিগত প্রায় দু'মাস ধরে সিলেটবাসী এ ভোগান্তির শিকার। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে গুড়ি বৃষ্টি হওয়াতে দুপুর থেকে জিন্দাবাজার,লামাবাজার, রিকাবিবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, মদিনা মার্কেট, বন্দরবাজার এলাকায় তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। এর মধ্যে দুপুর আড়াইটার পর ঝুম বৃষ্টি শুরু রাস্তায় রিকশায় থাকা লোকজনের দুর্ভোগের সীমা ছিল না। বিকেলে বৃষ্টি থামলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হয় সবাইকে। অনেকে রিকশা সিএনজি ছেড়ে হেঁটে রওয়ানা দেন কিন্তু ফুটপাত ভাসমান হকারের দখলে থাকায় হেঁটেও স্বস্থি পাননি।
নগরবাসী বলছেন দিন যত যাচ্ছে, যানজট যেন ততই বাড়ছে। ১০ মিনিটের দূরত্ব পাড়ি দিতে অনেককে যানজটের কবলে পড়ে আধাঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে। যা এখন প্রায়ই হচ্ছে।
বস্তুত যানজটের কারণে প্রতিনিয়ত নানান সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন নগরবাসী। শিক্ষার্থীরা সময়মতো স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। পরীক্ষার সময় যানজটের কারণে হলে ঢুকতে দেরি হচ্ছে। আবার অফিস-আদালতসহ নানান কাজে কর্মজীবীরা সময়মতো পৌঁছাতে পারছেন না। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে যানজট। স্বল্প দূরত্বের পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অকারণে দীর্ঘ সময় রাস্তায় বসে ধৈর্যের ব্যাঘাত ঘটছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, ফুটপাত দখল, ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে না চলা, ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি, অপ্রশস্ত সড়ক, ফিটনেসবিহীন গাড়ির অবাধ চলাচল এবং গণ পরিবহনের বদলে সিএনজি'র রাজত্ব সিলেটকে যানজটের নগরীতে পরিণত করেছে।