ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

অস্ত্র ঠেকিয়ে ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা, ঠেকাল স্থানীয়রা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: সোমবার, নভেম্বর ২২, ২০২১

অস্ত্র ঠেকিয়ে ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা, ঠেকাল স্থানীয়রা

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় স্বজনদের অস্ত্র ঠেকিয়ে মাদ্রাসাপড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন বখাটের বিরুদ্ধে। উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের দক্ষিণ নুরুল্ল্যাহপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাত ১০টার দিকে। ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় পাঁচজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছে স্থানীয়রা।

 

ওই ঘটনায় ছাত্রীটির বাবা আলাউদ্দিন বাদী হয়ে রবিবার সকালে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে। হাতেনাতে ধরা পরা পাঁচজনকে মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাসেল ইসলাম, আরিফ হোসেন, শাওন ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও মোরশেদ আলম। তাদের সবার বাড়ি চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নে।

 

পুলিশ এবং ওই ছাত্রীর স্বজনরা জানান, জাফরপুর ফাতেহা মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণিতে পড়েন ওই ছাত্রী। মাদ্রাসা আসা-যাওয়ার পথে দীর্ঘদিন ধরে বসুদৌহিতা এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. রাসেল ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো। একপর্যায়ে মেয়ের মাদ্রাসা যাওয়া বন্ধ করে দেয় স্বজনরা।

 

শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাসেলের নেতৃত্বে তিনটি অটোরিকশায় করে ১৫/১৬ জন সন্ত্রাসী ওই ছাত্রীর ঘরে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে। পরে বাবা-মাসহ পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছাত্রীকে অটোরিকশায় করে তুলে নিয়ে যায়। চরশাহীর দিঘীরপাড় এলাকায় পৌঁছলে স্থানীয়রা ঘেরাও করে পাঁচ অপহরণকারীকে অস্ত্রসহ আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পর্দ করে।

 

ছাত্রীর বাবা আলাউদ্দিন জানান, বাড়িতে অনেক মেহমান ছিল। রাতের খাবার শেষে সবাই চা খাচ্ছিলেন। সাড়ে ১০টার দিকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাড়িতে ঢুকে পড়ে। অস্ত্রের মুখে আমার মেয়েকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাদের আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের আটক করে।

 

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক বলেন, অস্ত্রের মুখে মেয়েকে অপহরণ করার সময় পাঁচজনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি এলজি ও ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়।

 

এ ঘটনায় ধরা পড়া পাঁচ জনসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও অপহরণ মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

 

পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান জানান, পাঁচ অপহরণকারী ছাড়াও ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাদের জন্য আদালতে পাঁচ দিনের রিমাণ্ডের আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।