Can't found in the image content.
বিনোদন ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, নভেম্বর ২২, ২০২১
অভিনেত্রী
সায়নী ঘোষ, ভিন্ন ধারার চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। রাজনীতির ক্ষেত্রে
বামপন্থী সমর্থক বলেই পরিচিতি ছিলেন তিনি। তবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের
পতাকার নিচে আশ্রয় নেন এই টালিউড অভিনেত্রী। আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী
হয়েছিলেন সায়নী ঘোষ।
বাংলায়
হ্যাটট্রিকের পর এবার তৃণমূলের নজরে ত্রিপুরা পৌরসভার ভোট। সেই নির্বাচনে বাজিমাত করতে
ঘন ঘন রাজ্যটিতে হাজির হচ্ছে তৃণমূলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেখানে এসে এবার পুলিশি ঝামেলায়
জড়ালেন যুব তৃণমূল সভাপতি সায়নী ঘোষ।
রোববার
(২১ নভেম্বর) ভোট প্রচারে ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি।
সে রাজ্যেই ঘাঁটি গেড়েছেন সায়নী ঘোষ, কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেবরা। তারা সকলেই রয়েছেন
পোলো টাওয়ার হোটেলে। সায়নীকে আটক করে থানায় নিতে সকালেই সেই হোটেলে হানা দেয় পুলিশ।
তাদের
অভিযোগ, সায়নীর গাড়ি একজনকে ধাক্কা মেরেছে। তিনি আহত হয়েছেন তিনি। তাই সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য থানায় নিয়ে যেতে হবে। এই নিয়েই শুরু হয় বিবাদ। রুখে দাঁড়ান কুণাল ঘোষ। সায়নীকে
আটক করার জন্য আইনি নোটিস কোথায়? প্রশ্ন তার।
কুণাল
দাবি করেন, বিজেপি ভয় পেয়েছে। তাই বারবার পুলিশ পাঠাচ্ছে। পুলিশকে হাতের মুঠোয় নিয়ে
রাজনীতি করতে চাইছে তারা।
এদিকে
স্পষ্টবাদী সায়নীর ভাষ্য, পালিয়ে যেতে আসেননি তিনি। মুখোমুখি লড়াই করার জন্য এসেছেন।
কী জন্য থানায় ডাকা হয়েছে, কী বৃত্তান্ত তা জানতেই থানায় যাবেন তিনি।
ভারতীয়
গণমাধ্যম সূত্রে খবর, পুলিশ সায়নীকে থানায় নিয়ে যেতে হোটেল ঘিরে রেখেছে। এই অভিনেত্রীকে
নিয়ে থানায় রওনা দেবেন কুণাল ঘোষ।
এবারই
প্রথম নয়, এর আগেও ত্রিপুরা এসেছেন সায়নী। বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন তিনি।
সে রাজ্যে তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা এবং জয়া দত্তের উপর হামলার ঘটনায়
সরব হয়েছিলেন তিনি।
ত্রিপুরার
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে তীব্র ভর্ৎসনা করে সায়নী টুইট করেছিলেন, ‘আপনার মরে যাওয়া
উচিত। নিজের থেকে অর্ধেক বয়সের তরুণ নেতাদের আক্রমণ করায় আপনার লজ্জিত হওয়া উচিত। বিশ্বাস
করুন আমরা যখন বলছি তখন আপনাকে এবং আপনাদের দলকে ত্রিপুরার মানচিত্র থেকে মুছে দেব।
কথা দিচ্ছি আমরা।’