Can't found in the image content.
আমান উল্লাহ কবির, টেকনাফ প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, নভেম্বর ২২, ২০২১
বঙ্গোপসাগরের
সেন্টমার্টিনের পূর্ব পাশ থেকে মাছ শিকারের সময় চার ট্রলার সহ ২২মাঝি-মাল্লাকে ধরে
নিয়ে গেছে মিয়ানমারের নৌ-বাহিনী।
শনিবার
সকাল ১০ টার দিকে বাংলাদেশের জলসীমা সেন্ট মার্টিন থেকে এসব মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে
যায় মিয়ানমার নৌ বাহিনী।
সেন্টমার্টিন
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, সাগরে প্রতিদিনের মতো মাছ শিকারে গেলে মিয়ানমার
নৌ বাহিনী তাদের ধরে নিয়ে যায়।
ট্রলার
মালিকরা হলেন, সেন্টমার্টিনের মোহাম্মদ আজিম, নুরুল আমিন, হোসেন আহমদ ও মোহাম্মদ ইউনুস।
ট্রলার
মালিক নুরুল আমিন জানান, আমার ট্রলারসহ ৪টি ফিশিং ট্রলার আটক করে নিয়ে যায় মিয়ানমারের
নৌ-বাহিনী। ওই ট্রলারে ৬ মাঝিমাল্লা ছিলেন।
মাঝিমাল্লাসহ
ট্রলারটি ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিনিয়ত
মিয়ানমার নৌবাহিনী আমাদের ট্রলারগুলো ধরে নিয়ে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে
দেয় বলে জানিয়ে বলেন, খবর পেয়ে আমি সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ড ও বিজিবি বরাবরে লিখিতভাবে
আবেদন দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ট্রলার
মালিক মো.আজিম জানান, সকালে সেন্টমার্টিনের পূর্ব দিকে এপারে ঢুকে তার মাছ ধরার ট্রলারটি
নিয়ে যান মিয়ানমার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ট্রলারে ছয়জন জেলে ছিলেন।
এছাড়া আরো তিনটি ট্রলার নিয়ে গেছেন।ঘটনাটি বিজিবি ও কোস্ট গার্ডকে জানানো হয়েছে।
সেন্টমার্টিন
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, মিয়ানমারের নৌ-বাহিনী ধরে নিয়ে যাওয়ার পর মোবাইল
ফোনে জেলেদের সাথে আলাপ হয়েছে। জেলেরা জানিয়েছে তাদের নৌ-বাহিনীর জাহাজে তুলেছে এবং
ট্রলারগুলো জাহাজে বেঁধে রেখেছে। এখন মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না।
বিষয়টি টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে।
টেকনাফ
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)পারভেজ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি তিনি অবহিত হয়েছেন। এব্যাপারে
উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বিজিবি, কোস্টগার্ডকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ
কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেঃ খন্দকার মুনিফ তকি জানান, বিষয়টি আমরা
শুনেছি। এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তাদের ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয়
পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে কতজন মাঝি মাল্লা এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানাতে পারেননি
তিনি।