গাজীপুর মহানগরে এক শারীরিক প্রতিবন্ধীর কাছ থেকে এলাকার বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবসা ও ৫২ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে।
গাছা থানার কুনিয়ার স্থানীয় মাওলানা আজিজসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়।
ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী ছাইদুর রহমান (৪১) রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার মাদিলা গ্রামের ছলিমউদ্দিনের ছেলে। তিনি বর্তমানে গাছা থানার ৩৭নং ওয়ার্ডের কুনিয়া এলাকার সাবেক কাউন্সিলর দুলালের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
এ বিষয়ে শুক্রবার রাতে ছাইদুর রহমান বাদী হয়ে মাওলানা আবদুল আজিজসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গাছা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন— স্থানীয় হাজী নেকবর আলীর ছেলে মাওলানা আবদুল আজিজ (৪২), ফজলুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ দিপু (২৮), হজরত আলীর ছেলে জাকির হোসেন (৪২), আহেদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ বারি (৫০), আবদুল ছামাদের ছেলে সাইদুজ্জামান সোহেল (৪০) ও রোশ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ জুলহাস (৫২)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ছাইদুর ২০১২ সাল থেকে নগরীর ৩৭নং ওয়ার্ডের কুনিয়া এলাকার ময়লা ও আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন ম্যানেজার হিসাবে। সম্প্রতি সিটি নির্বাচনের পর কাউন্সিলর পরিবর্তন হয়। ব্যবসার চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ না হতেই নাকি ময়লার ব্যবসা ছেড়ে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয় অভিযুক্তরা।
ছাইদুর ৪-৫ লাখ টাকার ময়লার ড্রাম বিভিন্ন স্থানে দেওয়া আছে জানিয়েও রক্ষা পাননি আজিজের হাত থেকে। কোনো অজুহাত শুনবে না বলে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে টিটিএস ইলেকট্রিক অ্যান্ড ফার্নিচার নামক দোকানে রাম দা গলায় ঠেকিয়ে ময়লার বিল উত্তোলনের ৫২ হাজার টাকা কেড়ে নেয়।
অন্যদিকে ময়লার ব্যবসা গুঁটিয়ে একদিনের মধ্যে এলাকা ছাড়তে বলে। প্রাণভয়ে একদিনের মধ্যে এলাকা ছাড়লেও তাদের হুমকি-ধমকি অব্যাহত রয়েছে। ব্যবসা ও মালামাল ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ওই প্রতিবন্ধী ছাইদুর।
অভিযুক্ত আজিজ বলেন, ইমরান সানি এ এলাকার ময়লার ঠিকাদার। সে শাহজালাল গংদের সাব হিসাবে কাজ দিয়েছিল। আর ছাইদুর শাহজালালের ম্যানেজার। মালিক পরিবর্তন হলে ম্যানেজারের সমস্যা কোথায়? মালিক তো অভিযোগ করেনি। সম্পূর্ণ নিয়মনীতি মেনেই মেয়াদান্তে ইমরান সানি জাকির গংদের ব্যবসা হস্তান্তর করেছে। আমি ঘটনার সাক্ষী হিসেবে আসামি হয়ে গেছি।
গাছা থানার ওসি ইবরাহীম হোসেন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।