কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় বিএনপি-ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অত্যন্ত ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার তিনকোন মোড়ে এলাকায়। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষ পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা গেছে, বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি। শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর বিকালে পুর্ব ঘোষিত কর্মসূচি উপলক্ষে ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হয়।
এসময় উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সমর্থকদের কয়েকটি অটোরিকশা সদরে প্রবেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে শ্লোগান দেয়। এই শ্লোগানের জের ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির কর্মীদের সাথে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে এবং চড়াও হয়।
এই খবর সমাবেশস্থলে ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠি শোঠা নিয়ে উপজেলা সদরের তিনকোনা মোড়ে অবস্থান নেয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে যায়। প্রায় আধা ঘণ্টা ব্যাপী চলা সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রলীগর যুগ্ম সম্পাদক সজল পোদ্দার, লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহাদ হাসান তুষার, বায়জিদ বোস্তামী বাঁধন এবং উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন সরকার, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রেজাউল ইসলাম রেজা, যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা, বিএনপি কর্মী তোতা মিয়া, যুবদল কর্মী রেজাউল, আয়নাল, আলামিন, শফিকুল ইসলামসহ উভয় পক্ষের অত্যন্ত ২০জন আহত হয়। খবর পেয়ে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পরে উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে তিনকোনা মোড়ে শান্তি সমাবেশ করে। অন্যদিকে বিকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও কদমতলা সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে কদমতলা মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল জানান, আমাদের শান্তিপূর্ন মিছিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের ১০-১২ জন সক্রিয় নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন বলেন, আমি নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করি। তারপরও বিএনপির লোকজন আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোন পক্ষ মামলা বা অভিযোগ করেননি।