টানা তিনদিনের ছুটিতে সিলেটে পর্যটকদের ঢল নেমেছিল। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ছিল সরকারি ছুটি। সঙ্গে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি যুক্ত হওয়ায় বুধবার রাত থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন ছুটে আসেন সিলেটে। পরিবার পরিজন নিয়ে কেউ আসেন মাজার জিয়ারতে আবার কেউ আসেন সিলেটের আকর্ষণীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে করতে। অধিক সংখ্যক পর্যটক সিলেটে আসার প্রভাব পড়ে স্থানীয় হোটেল-মোটেলে। কোনেটাতেই তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।
সিলেটে এসে হোটেলে ঠাঁই না পেয়ে অনেকেই সঙ্গে নিয়ে আসা বাসে রাত কাটান। কেউ কেউ আশ্রয় নেন হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহ পরান (র.) মাজার প্রাঙ্গণে। এছাড়া নগরীর প্রায় সবকটি হোটেলের সামনেও ছিল পর্যটকদের ভিড়। রুম না পেয়ে কেউ রাত কাটিয়েছেন হোটেলের রিসিপশনে, আর কেউ হোটেলের সিঁড়িতে।
করোনা পরবর্তী সময়ে এত পর্যটক একসঙ্গে সিলেটে আসেননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বিপুল সংখ্যক পর্যটক সমাগমে আবাসনের সঙ্গে পরিবহণ সংকটও দেখা দেয়। এ অবস্থায় বাড়তি ভাড়ায় পর্যটকদের পৌঁছাতে হয়েছে গন্তব্যে।
তিনদিনের ছুটিতে বুধবার রাত থেকে সিলেটে পর্যটকদের ঢল নামতে শুরু করে। যাদের অগ্রিম হোটেল বুকিং ছিল না, তারা সিলেটে নেমেই পড়েন হোটেল সংকটে। এক হোটেল থেকে আরেক হোটেলে ছুটলেও রুম পাননি। বেশিরভাগ হোটেলই আগে থেকে বুকিং থাকায় তাদের পড়তে হয় বিপাকে।
সিলেট হোটেল অ্যান্ড গেস্ট হাউস ওনার্স গ্রুপের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব জানান, সিলেটে তাদের সংগঠনভুক্ত হোটেল রয়েছে শতাধিক। এর বাইরে আরও কয়েকশ হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস রয়েছে। এবার টানা তিনদিনের ছুটিতে পর্যটকদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গেছে। করোনার পর সিলেটে পর্যটকদের এত সাড়া আর পাওয়া যায়নি। প্রায় সবকটি হোটেলের রুম বুকিং হয়ে গেছে। তিনদিনের ছুটি ও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে পর্যটকরা এবার ছুটিতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য সিলেটকে বেছে নিয়েছেন।