ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

নির্মাণের ৬৪ বছর \ভেঙ্গে পড়ছে ইউএনও'র বাসভবনের সীমানা প্রাচীর!

মাইনুল ইসলাম রাজু, আমতলী প্রতিনিধি। | আপডেট: শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩

নির্মাণের ৬৪ বছর \ভেঙ্গে পড়ছে ইউএনও'র বাসভবনের সীমানা প্রাচীর!
নির্মাণের ৬৪ বছরের মাথায় ভেঙ্গে পড়েছে বরগুনার আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের সীমানা প্রাচীরের একাংশ। এছাড়া সীমানা প্রাচীরের বেশ কিছু জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। তাও যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বাসভবনের উত্তর পাশের সীমানা প্রাচীরের একাংশ ভেঙ্গে পিছনের সরকারী কোয়ার্টারের সামনে চলাচলের রাস্তার উপড় পড়ে গেছে।

উপজেলা প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে ১৯৬১-১৯৬২ অর্থ বছরে থানা সার্কেল অফিসার (উন্নয়ন) সিও ডেপঃ এর পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকার জন্য সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা একটি বাংলো টাইপের বাড়ী নির্মাণ করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ওই বাংলো বাড়ীটিতেই থানা নির্বাহী কর্মকর্তা (টিএনও) বসবাস করতেন। উপজেলা প্রবর্তন হওয়ার পরে ওই একই ভবনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তার পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন। ভবনটি সংস্কার ও মেরামত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তার পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন।

চলতি বছর বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আলম আমতলীতে যোগদান করার পরে তার বসবাসের জন্য নির্ধারিত বাসভবনটি অনেক পুরানো ও ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় উপজেলা স্বমন্বয় সভায় সিন্ধান্ত নিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার জন্য নতুন একটি ভবন নির্মাণ করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপেক্ষিতে নতুন ভবন এখনো নির্মিত না হলেও বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সমুদ্র লঘূচাপের প্রভাবে গত ৫ দিনের টানা বৃষ্টিপাতে মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় ব্রিকসের তৈরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বাসভবনটির পিছনে উত্তর পাশের সীমানা প্রাচীরের একটি অংশ (১১০ ফুট) ভেঙ্গে পড়ে।

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, পাকিস্তান আমলে ৬৪ বছর পূর্বে নির্মিত ওই ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী ঘোষনা করে স্থানীয় সরকার বিভাগকে জানানো হয়েছে। গত কয়েকদিন অতিবৃষ্টি হওয়ার কারনে মাটি নরম হয়ে ব্রিকস দিয়ে নির্মিত ওই সীমানা প্রাচীরের একটি অংশ ভেঙ্গে পড়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল হোসাইন জানান, যেহেতু বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত আমতলীতে অতি মাত্রায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তাছাড়া ইউএনও স্যারের বাসার সীমানা প্রাচীরটি অতি পুরানো হওয়ায় আজ সকালে তার একটি অংশ ভেঙ্গে পড়েছে। ফাটল দেখা দিয়েছে অনেক জায়গায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, আমার জন্য নির্ধারিত বাসভবন ও সীমানা প্রাচীর দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে নির্মিত হয়েছে। অতি বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে সীমানা প্রাচীরের একটি অংশ ভেঙ্গে পড়ায় এখন অজানা আশংকায় ভয় লাগছে ওই ভবনে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতে।

তিনি আরো বলেন, আমতলীতে যোগদান করার পরে উপজেলা প্রকৌশলী আমার বাসভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী ঘোষনা করে। বিষয়টি আমি আমার সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পত্রের মাধ্যমে জানিয়েছি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় থাকায় এখন পর্যন্ত নতুন ভবন নির্মাণ করা না হলেও আশা রাখছি খুব দ্রুতই বাসভবন নির্মাণের জন্য ভালো খবর পাবো।