ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

শ্রীমঙ্গলে রিসোর্টে পর্যটক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শান্ত ঘোষ গ্রেফতার

উপজেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ৩১, ২০২৩

শ্রীমঙ্গলে রিসোর্টে পর্যটক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শান্ত ঘোষ গ্রেফতার
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রিসোর্টে পর্যটক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শান্ত ঘোষ (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।   শান্ত ঘোষ শ্রীমঙ্গলের কাকিয়াছড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় একটি ফাইভস্টার মানের রিসোর্টের ফুড এন্ড ব্যাভারেজ-এর দায়িত্বশীল। তবে হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে যাওয়া ৪ জনের কাউকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ।

গত রোববার (২৭ আগস্ট) রাত ৮টায় শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডলুবাড়ি এলাকার লেমন গার্ডেন রিসোর্ট থেকে শরীফুল ইসলাম (৪১) নামের এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার হাঁটুভাঙ্গা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামানের ছেলে।  শরীফুল ঢাকার ভাটেরা এলাকার ৪০নং ওয়ার্ডের ফাঁসেরটেকে বসবাস করছিলেন।

জানা যায়, ২৫ আগস্ট (শুক্রবার) সকাল ৮টার দিকে চাঁদপুরের শাহারাস্তি উপজেলার খাসেরবাড়ি গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে মো. নুরুল আমিন রাব্বিসহ অজ্ঞাতনামা আরও মধ্যবয়সী ৩ জন পর্যটক লেমন গার্ডেন রিসোর্টের বৃষ্টি বিলাসের রুম নং-৫ এ ওঠেন। পরদিন (শনিবার) রাত ১১টায় রিসোর্ট ম্যানেজারকে রুম ভাড়া পরিশোধ করে জানান- তাদের দু'জন সাথী রুমে রয়ে গেছেন, রোববার দুপুরে তারা চেক আউট করবেন। এ কথা বলে ওই চারজন রিসোর্ট থেকে কৌশলে ড্রাইভার পরিচয়ে একজনকে নিয়ে পালিয়ে যান।  রোববার সন্ধ্যায় হোটেল স্টাফ সহিদুল ইসলাম ও রুহান আহমেদ ওই রুমে চেকিংয়ের জন্য গেলে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে তারা জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখতে পান- একজন ব্যক্তি মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এবং রুমের ভেতরে রক্তের দাগও রয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক রিসোর্টের ম্যানেজারকে জানান।

পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি শ্রীমঙ্গল থানাপুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, রোববার সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৯টার ভেতরে যেকোনো সময় শরীফুলের মাথায় কাঠের বর্গা দিয়ে একাধিকবার আঘাত করে খুন করা হয়। কারণ- নিহত ব্যক্তির মাথায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সে কারণে মুখমণ্ডল একেবারে বিকৃত হয়ে গেছে। ঘটনা পরদিন (সোমবার) রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে শ্রীমঙ্গল থানায় নিয়ে যাওয়া। এর মধ্যে একজন শান্ত ঘোষ।

বাকিরা হলেন- লেমন গার্ডেন রিসোর্টের ম্যানেজার মামুন আহমদ, রিসোর্টের সিকিউরিটি গার্ড ও ২জন হোটেল বয় রয়েছেন। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শান্ত ঘোষকে আটক করে বাকিদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে- পলাতক রাব্বি শান্ত ঘোষের পূর্ব পরিচিত। এদিকে. খুনের ঘটনার পর রিসোর্ট থেকে ৪ জন পালিয়ে যেতে যে প্রাইভেটকার ব্যবহার করেছিলেন সেটি ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে জব্দ করে পুলিশ। কারটি হত্যা মামলার ২নং আসামি ওসমানী গনি ব্যবহার করতো বলে পুলি জানতে পেরেছে।

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সর্দার বলেন- জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিন আগে শান্ত ঘোষকে আটক করা হয়। এরপর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার প্রাথমকি প্রমাণ মিলেছে। তাই তাঁকে এই মামলায় অভিযুক্ত দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে মূল আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।