Can't found in the image content. অপরিকল্পিত ভাবে মাটি খনন ও বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে বসতবাড়ীসহ ফসলী জমি | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪ |

EN

অপরিকল্পিত ভাবে মাটি খনন ও বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে বসতবাড়ীসহ ফসলী জমি

মোস্তাকিম হোসেন, পাঁচবিবি প্রতিনিধি | আপডেট: বুধবার, আগস্ট ২৩, ২০২৩

অপরিকল্পিত ভাবে মাটি খনন ও বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে বসতবাড়ীসহ ফসলী জমি
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন করায় ফসলী জমি ধসে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অপর দিকে হুমকির মুখে পড়েছে নদী পাড়ের বসতবাড়ী। ফলে আতংকে রয়েছে তারা। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট্ট যমুনা নদীর তীরবর্তী আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ছোট্ট মানিক গ্রাম (গোয়াল পাড়া)। গ্রামের পাশেই ছোট্ট যমুনা নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করেন সালেকীন ইসলাম নামের এক বালু ব্যবসায়ী। 

এতে নদীর তীরবর্তী কৃষকদের জমি ক্ষতি গ্রস্ত হলে বালু উত্তোলনে বাধা দেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। কিন্তু বালু ব্যবসায়ী সালেকীন কৃষকদের বাঁধা নিষেধ অমান্য করে বালু উত্তোলন করেই থাকেন এবং কৃষকের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে।  

বালু ব্যবসায়ী সালেকীন অদৃশ্য ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিত ভাবে নদীর তীরবর্তী পশ্চিম মানিক ( গোয়াল পাড়া) গ্রামের পাশ থেকে বালু উত্তোলন করার কারনে বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে কৃষকের ফসলী  জমি  ধসে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় গ্রামের বেশ কিছু বসতবাড়ী ঝুঁকিপূর্ণ  হয়ে পড়েছে ।

খবর পেয়ে স্থানীয় আয়মারসুলপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিল্টন ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের জমি ও এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই এলাকার  কৃষকেরা খুব গরীব লোক। অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারনে ফসলসহ কৃষকের জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।তিনি দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচার  ও কৃষকদের ক্ষতি পূরুণের দাবী জানান। 

এবিষয়ে বালু ব্যবসায়ী সালেকীন ইসলাম জানান,আমার বিরুদ্ধে কৃষকদের করা অভিযোগ সম্পূর্ণ  মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি সেখানে কোন বালু বা মাটি উত্তোলন করিনি। আমি আমার জমি থেকে মাটি কেটে পাড় বেঁধেছি ।

পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা সুলতানা জানান, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তাকে তদন্ত করার জন্য বলেছি।