হরিরামপুরে মাত্র ৩০ মিনিটের পদ্মা ভাঙনে ১২ বাড়ি বিলীনের পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাতে ৪৬নং চর মকুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আংশিক পদ্মায় গিলে খেয়েছে।
বুধবার সকালে ধূলশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চেয়ারম্যান যুগান্তরকে জানান বলেন, পদ্মা ভাঙনে ঝুঁকিতে এখনো অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর। এরআগে সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ধূলশুড়া ইউনিয়নের আবিধারা ও ইসলামপুর এলাকায় ভাঙনে নিঃস্ব ১২ পরিবার। মঙ্গলবার রাত ২টায় ৪৬নং চর মকুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আংশিক ধসে গেছে। বাকি অংশ রক্ষায় জিও ব্যাগের পাশাপাশি, জিও টিউব ফেলে প্রানান্তরকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপসী রাবেয়া বলেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে স্কুলের আংশিক পদ্মায় ধসে গেছে।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মঈন উদ্দীন যুগান্তরকে বলেন, সোমবার রাতে বেশ কয়েকটি বাড়ি বিলীন হয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে স্কুলটির আংশিক ধ্বসে গেছে।
এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া (বৃষ্টি) উপেক্ষা করে জরুরি ভাবে জিও ব্যাগের পাশাপাশি, জিও টিউব ও ডাম্পিং কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিনি আশা করছেন স্কুলের বাকি অংশ রক্ষা কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আশা করি ভাঙন রোধ হবে।