ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

সর্বজনীন পেনশনের উদ্যোগকে অভিনন্দন জানাতেও ব্যর্থ বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

চট্রগ্রাম ব্যুরো | আপডেট: শুক্রবার, আগস্ট ১৮, ২০২৩

সর্বজনীন পেনশনের উদ্যোগকে অভিনন্দন জানাতেও ব্যর্থ বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

ফাইল ছবি

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের প্রান্তিক মানুষের কথা ভেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন ও রাষ্ট্রকে মানবিক করার ক্ষেত্রে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু বিরাট উদ্যোগ নিলেও বিএনপিসহ নাগরিক সমাজের একাংশ এ পদক্ষেপকে অভিনন্দন জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। 

শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামে রেড ক্রিসেন্ট ফিজিও অর্থোপেডিক পুনর্বাসন সেবাকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আব্দুল ওয়াহ্হাবের সভাপতিত্বে এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিউল আজম, ট্রেজারার এম এ ছালাম, চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের সহসভাপতি আলমগীর পারভেজ বক্তব্য রাখেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাতে বিশ্ব সম্প্রদায় থেকেও প্রশংসিত হচ্ছেন। শুধু প্রশংসা করতে পারে না আমাদের দেশের বিএনপিসহ কিছু দল আর কিছু ব্যক্তি বিশেষ। এটি জাতির জন্য দুর্ভাগ্য। যে যাই বলুক না কেন, যতই সমালোচনা করুক না কেন, কাজ করলে সমালোচনা হবে। আমরা সমালোচনাকে সমাদৃত করার মানসিকতা পোষণ করি। সেই কারণে আমরা মনে করি সমালোচনা করলে ক্ষতি নেই। কিন্তু অন্ধের মতো সমালোচনা ভালো নয়, সবকিছুতে না বলার সংস্কৃতি এবং না বলার রাজনীতি রাষ্ট্রের জন্য ভালো হয় না।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুকে নাগরিক সমাজের সদস্য, যারা কারণে-অকারণে জাতিকে জ্ঞান দেন, তারাও অভিনন্দন জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন। হয়তো কদিন পরে দেখা যাবে এর মধ্যে কি ভুল আছে সেটি বের করার চেষ্টা করবে। এরা কোনো কাজ করে না, অন্যে কি কাজ করে সেটির ভুল ধরে। আমি এজন্য ওদের নাম দিয়েছি ‘ভুল ধরা পার্টি’। রাত ১২টার পরে এই ভুল ধরা পার্টি টেলিভিশনে সরব হয়। মানবিক ও সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করার লক্ষ্যেই ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতা চালু করেছেন। এখন সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২২ প্রকার ভাতা দেওয়া হয়। প্রতি ইউনিয়ন পরিষদে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মানুষ নানা প্রকারের ভাতা পান। আজকে মানুষের স্বপ্নকেও হার মানিয়ে শেখ হাসিনা ছিন্নমূল মানুষকে ঘর করে দিচ্ছেন।