সিলেটে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ২৫০ নেতাকর্মীকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও সিলেট জজ কোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট প্রবাল চৌধুরী পূজন। জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার প্রেক্ষিতে রোববার সকালে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে তিনি এ মামলা করেন।
দুপুরে আদালতের বিচারক সুমন ভূঁইয়া কোতোয়ালি থানা পুলিশকে এজাহারটি দ্রুত বিচার আইনে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। এ মামলায় সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের ৫৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালতে করা মামলায় যে ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাঈম আহমদ, ইসফাকুর নূর চৌধুরী, আহমদ উদ্দিন সাজন, তানভীর আহমেদ, আনহার ওরফে শ্যুটার আনছার, সিসিকের ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহেল আহমদ, শান্ত আহমদ, সিলেট ইনঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মিছবাউল করিম রফিক, অনিক, জাবেদ আহমদ চৌধুরী, হাসান মাহমুদ, মান্না কোরেশী, সাগর, মুহিত খান, আহমেদ ইয়াসিন, কামিল রাজা, জাকিরুল ইসলাম জাকির, রাসেল আহমেদ, মুহিউদ্দিন রাসেল, সাগর সরকার, নাসিম চৌধুরী, শাহ আলম স্বাধীন, ইয়াছিন আহমেদ মারুফ, আহমদ আলী, আশরাফুল আম্বিয়া, জাহিদুল হক তাহমিদ, মো. এমাদ, মনিউল আলম, মাহবুবুর রহমান চৌধুরী রেমু, কাজী জুবায়ের আহমদ, মো. আকাশ আর চৌধুরী, আকাশ ঘোষ, বিরাজ দাস, নাঈম আহমদ, এসকে সাজু, মো. আকিব চৌধুরী, সাকির হোসেন শাহীন, সালমান, বিশাল দাস, খন্দকার মাহমুদুল হাসান জনি, ফরহাদ খান, রেদওয়ান আহমেদ রেজা, রাতুল কর পুরকায়স্থ, সৌরভ, আহাদ, আতিকুল আলম, সারওয়ার আহমদ নাহিদ, আজিজুর রহমান মুন্না , কনুজ ধর, জিহান আহমদ, এম ইমন সাহেদ, আলতাফ হোসেন মুরাদ ও রায়হান খান সুহান।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ বলেন, এটি একটি যড়যন্ত্রমূলক মামলা। রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এটি করা হয়েছে। কেন্দ্রকে বিষয়টি জানানো হবে। বসে আলোচনা করে এ ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে তিনি জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে অ্যাডভোকেট প্রবাল চৌধুরী পূজনের নগরীর দাঁড়িয়াপাড়ার বাসায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তিনি হামলাকারীদের গুলিতে মারাত্মক আহত হন। জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ও নেতাকর্মীরা চিনি চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ফেসবুকে এমন মন্তব্যের জেরে অ্যাডভোকেট পূজনের ওপর এই হামলা করা হয়েছিল।