Can't found in the image content. টেকনাফের দৃষ্টি নন্দন মেরিন ড্রাইভ সড়কে তীব্র ভাঙ্গন | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪ |

EN

টেকনাফের দৃষ্টি নন্দন মেরিন ড্রাইভ সড়কে তীব্র ভাঙ্গন

আমান উল্লাহ কবির, টেকনাফ প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ৩, ২০২৩

টেকনাফের দৃষ্টি নন্দন মেরিন ড্রাইভ সড়কে তীব্র ভাঙ্গন
কক্সবাজার-টেকনাফের দৃষ্টি নন্দন মেরিন ড্রাইভ সড়ক সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে তীব্র আকারে ভাঙ্গন ধরেছে। ছোট-বড় প্রায় ১০ টি স্পটে এই ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ভেঙে যাওয়া অংশ এখনই মেরামত করা না হলে আরো ব্যাপক ভাঙনে মেরিন ড্রাইভ সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

বৃহম্পতিবার (৩ আগস্ট) সকালে সরেজিমনে দেখা যায়,টেকনাফের পশ্চিম মুন্ডার ডেইল এলাকার প্রায় ৬০ মিটার সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে ভেঙে গেছে। এছাড়া গত দুই দিনে ধরে টানা বৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ার কারনে সাগর উত্তাল থাকায় ঢেউয়ের তোড়ে টেকনাফের বাহারছড়া, হাদুরছড়া, দক্ষিণ মুন্ডার ডেইল এলাকায় দশটি স্পটে মেরিন ড্রাইভে নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।     

স্থানীয়রা জানায়- অঝর ধারায় বৃষ্টিপাত ও বৈরি আবহাওয়ার কারনে ২-৩ দিন ধরে টেকনাফে ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। এর কারণে সাগরের পানির উচ্চতা বেড়ে গপছে। সেই সাথে বৈরি আবহাওয়ার কারনে সাগর উত্তাল রয়েছে। ফলে বড় বড় ঢেউ কিনারায় আঁছড়ে পড়ছে। এতে সড়ক রক্ষাকবজ জিও ব্যাগ দুর্বল হয়ে হয়ে যাচ্ছে এবং জিও ব্যাগ ডিঙিয়ে উত্তাল ঢেউ সড়কে আঘাত হানছে। এরই মধ্যে সড়কটিকে গ্রাস করছে সমুদ্র। আইন অমান্য করে মেরিন ড্রাইভের কাছ থেকে অনেকে বালু তুলে জমি ভরাট করেছে। এ কারণে সাগরে সামান্য পানি বাড়লেও এ রুটে ভাঙন দেখা যায়। 
সাগরের পাশে বসবাসকারী মো. জুবাইর জানান- এ ধরনের ভাঙ্গন আগে কখনও দেখেনি। বালি উত্তোলন ও সৈকতে গাছ না থাকায় এধরনের ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে। 

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, সাগরের জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেশি। মেরিন ড্রাইভের কয়েকটি স্পটে ভাঙন ধরেছে। তবে ভাঙন রোধে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করছে। খুব কম সময়ে এই সমস্য সমাধান হবে। 

এদিকে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি নির্মাণ কাজ শুরু হয় কক্সবাজার শহরের কলাতলী জিরো পয়েন্ট থেকে টেকনাফের সাবরাং জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়কের ৮০ কিলোমিটার এলাকায়। সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন হলেও নির্মাণ তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকৌশল কোর। এ সড়কটি দেশের পর্যটন শিল্পের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে বেশ সমাদৃত রয়েছে।  এক পাশে পাহাড় ও অপর পাশে বঙ্গোপসাগর হওয়ায় প্রতি বছর এ সড়কে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে।