সম্প্রতি সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ও নরসিংদী-৫ রায়পুরা আসনের সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর একটি ভিডিও বক্তব্য আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, এমপি রাজিউদ্দিন রাজু বলছেন- রায়পুরা বিএনপির কোনো লোক ঢাকায় যেতে পারবে না। কেউ যেন ঘর থেকে বের হতে না পারে। তাদের প্রতিহত করুন। আমরা সজাগ। বিএনপির কোনোরকম অত্যাচার আমরা সহ্য করব না। আপনারা ভুলে যাবেন না, ২০০১ সালের নির্বাচনের পরে তারা উপজেলাতে আমাকে আক্রমণ করেছে। আমার দিকে তারা গুলি ছুড়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমার গাড়ি ভাঙচুর, আমার ভাইদের ওপর অত্যাচার করেছিল, নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করেছিল। তাদের হাত থেকে কেউ ছাড় পায়নি। আমরা ভদ্রলোকের রাজনীতি করি, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না বলেই ২০০৮ সালের পর আমরা কিছু বলি নাই। কিন্তু এবার যদি এদিক ওদিক হয় আমরা কিন্তু কাউকে ছাড় দেব না। বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করে যাব ইনশাআল্লাহ।
জানা যায়, রোববার বিকালে নরসিংদীর রায়পুরা পৌর শহরে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল শেষে রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু অডিটরিয়াম মাঠে দলীয় নেতাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বিক্ষোভ মিছিলটি রায়পুরা পৌর শহরের স্বাধীনতা চত্বর থেকে শুরু হয়ে শ্রীরামপুর রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু অডিটোরিয়াম মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এতে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল বলেন, রায়পুরার বিএনপি নেতাদের ঢাকা যেতে প্রতিহত করার কথাটা যে বলেছেন- এটা ওনার আওয়ামী লীগের টপ লেভেলের নেতাদের ভিডিও করে দেখানোর জন্য, আমরা জানি যে আমাদের অগ্রযাত্রাকে থামাতে পারবে না। আমরা কোনো প্রোগ্রামে যাওয়া-আসা বন্ধ নাই। আমরা আগে যেমন গিয়েছি এখন আরও বেশি যাব। আমাদের আটকানোর মতো ক্ষমতা এখানে কারো নাই একমাত্র আল্লাহ ছাড়া।
আশরাফ উদ্দিন বকুল বলেন, রাজু সাহেব নিজেই নিজের এলাকা চৌচির করে ফেলেছেন, নৌকাও ডুবাইছেন। উনি ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা ডুবাইছেন, উপজেলা নির্বাচনে উনি নিজে নৌকা ডুবাইছেন। উনার দলের ভেতরেই তো উনি চার-পাঁচটা খণ্ড করে রাখছেন- এখানে আমাদের বিএনপির মধ্যে কোনো খণ্ড নাই; সবাই ধানের শীষের পক্ষে। আমরা আমাদের রাজপথে আছি।