ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, জুলাই ৯, ২০২৪ |

EN

ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান

এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ০৭ মামলায় জরিমানা ০২ লাখ ২১ হাজার

ষোল দিনে ১৮১ মামলায় জরিমানা ১ কোটি ২৮ লাখ ১৮ হাজার ৫ শত টাকা


নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বুধবার, জুলাই ২৬, ২০২৩

এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ০৭ মামলায় জরিমানা ০২ লাখ ২১ হাজার
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ডিএনসিসির মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানের ১৬ তম দিনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ০৭টি মামলায় মোট ০২ লাখ ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। 

উল্লেখ্য, ০৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযানে আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) পর্যন্ত ষোল দিনে মোট ১৮১ মামলায় জরিমানা ১ কোটি ২৮ লাখ ১৮ হাজার ৫ শত টাকা।

অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন মোহাম্মদপুর তাজমহল রোড এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাসির উদ্দিন মাহমুদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে দুইটি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ০২ মামলায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করা হয় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। 

অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন তেজগাঁও শিল্প এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসা বাড়ী, বাণিজ্যিক ভবন ও নির্মানাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লটে মশক বিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪টি ভবনের মালিককে ০৪ মামলায় মোট ০১ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া অঞ্চল-০৪ এর আওতাধীন ১০নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত লালকুঠি ও ৩য় কলোনি এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবেদ আলী অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে প্রায় ৬৫টি বাসাবাড়ি, ভবন, রেষ্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। একটি দোকানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ০৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লার্ভা ধংস করা হয়েছে। 

অঞ্চল-২ এর আওতাধীন মিরপুর সেকশন ০৭ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে একটি নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. এ কে এম শফিকুর রহমান। 
 
এছাড়াও ডিএনসিসি'র সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও ডিএনসিসির কর্মীদের সাথে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

উল্লেখ্য, মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান তদারকির জন্য সকল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দশটি টিম গঠন করা হয়েছে। দশটি টিম প্রতিদিন চলমান অভিযান তদারকি করছে।