শেখ হাসিনা ভারত পালানোর পর অনেকেই পালিয়েছেন দেশ ছেড়ে আবার কেউ কেউ দেশেই রয়েছেন আত্মগোপনে। এ তালিকায় রয়েছে অনেক পুলিশ কর্মকর্তাও। কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং দায়িত্ব পালন না করা পুলিশ সদস্যদের আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
কিন্তু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আলটিমেটামের আজ শেষ দিন হলেও গতকাল বুধবার পর্যন্ত আওয়ামীপন্থি কিংবা ক্ষমতাচ্যুত সরকারঘেঁষা হিসেবে পরিচিত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বেশির ভাগ কর্মকর্তা কাজে যোগ দেননি।
শাখাওয়াত হোসেন বলেছিলেন, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজে যোগ না দিলে অনুপস্থিতরা আর ‘চাকরি করতে চাইছেন না’ বলে ধরে নেওয়া হবে। সে হিসেবে পরবর্তী ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
ডিএমপি সূত্র বলছে, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) হারুন অর রশীদ, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারসহ অন্তত ২৫ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কাজে যোগ দেননি। এর মধ্যে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার থেকে অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন পুলিশ সদস্যরাও রয়েছেন।
ডিএমপি সদর দপ্তরের ক্রাইম বিভাগ ও প্রশাসন বিভাগসহ দুই-একটি ইউনিটের সদস্যরা পুরোদমে অফিস করছেন। বাকিদের কক্ষে তালা ঝোলানো দেখা যায়। অনেকের ফোনও বন্ধ। তবে থানাগুলোতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দিয়েছেন। থানাগুলো চালু হলেও গত তিন দিনে ঢাকা মহানগর পুলিশের ৫০ থানার মধ্যে কোনো থানাতেই মামলা দায়ের হয়নি। যদিও তিন দিনে ২৫০টির মতো সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। আগে দিনে প্রায় এক হাজার জিডি হতো। ১৪ আগস্ট ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকেই কাজে ফিরছেন। আমরা আশাবাদী, বাকিরাও দ্রুতই কাজে ফিরবেন।’
নিরাপত্তাহীনতা ও সহকর্মীদের হতাহত হওয়ার ক্ষোভ থেকে ৫ আগস্টের পর কাজে যোগ দেননি পুলিশের ননক্যাডার সদস্যরা। আর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়েও গেছেন।