হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলা জাইকা প্রকল্পের আওতায় স্ট্রিট লাইট স্হাপনে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, অত্র উপজেলার জনচলাচলের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলোতে স্ট্রীট লাইট স্হাপনের জন্য বিভিন্ন এলাকার লোকজনদের কাছ থেকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করা হয়। এ প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই পূর্বক ২০২২-২৩ অর্থ বছরে জাইকা প্রকল্পের আওতায় স্ট্রিট লাইট স্হাপনের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের বরাতে ২৩টি ও ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের বরাতে ৪টি করে ২৮টিসহ মোট ৫১টি স্টিল লাইট স্হাপনের জন্য উপজেলা পরিষদ চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারী এক সভায় সিন্ধান্ত গ্রহন করে।
বরাদ্দকৃত লাইট গুলোর মধ্যে- স্নানঘাট ইউনিয়নে ৫টি, পুটিজুরী ইউনিয়নে ৬টি, সাতকাপন ইউনিয়নে ৭টি, বাহুবল সদর ইউনিয়নে ১৭টি, লামাতাসি ইউনিয়নে ৪টি, মিরপুর ইউনিয়নে ৬টি ও ভাদেশ্বর ইউনিয়নে ৬টি স্ট্রীট লাইট বরাদ্দ দেওয়া হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উল্লেখিত স্টিট লাইটের অনেক গুলোই যথা স্হানে স্হাপন করা হয়নি। ৭নং ভাদেশ্বর ইউনিয়নের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের শামছু মিয়ার বাড়ির সামনের রাস্তার জন্য বরাদ্দকৃত লাইটি তার বাড়ির ভিতরের বসতঘরের বারান্দার সাথে যুক্ত করে বসানো হয়েছে, ১নং শ্নানঘাট ইউনিয়নের অমৃতা গ্রামের দুদু মিয়া মাস্টারের সামনের রাস্তার জন্য বরাদ্দ কৃত লাইটি তার বসত বাড়ির ভিতরে স্হাপন করা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান এর বাড়ির ভিতরেও একাধিক লাইট স্হাপন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও ৫নং লামাতাসি ইউনিয়নের বৃহৎ ও ঘন বসতি গ্রাম শিবপাশার জন্য বরাদ্দ কৃত ২টি লাইটের একটিও স্হাপন করা হয়নি। এমনি আরো বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এ প্রতিনিধিকে অনেকেই ফোনে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, উৎকোচ ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে স্ট্রিট লাইট গুলো যথা স্হানে স্হাপন না করে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা তাদের মনগড়া ভাবে স্হাপন করেন। এনিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন ফাতেমা জাইকা প্রকল্পের UDF এর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
জাইকা প্রকল্পের উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফেসিলিটিজ (UDF) নিশিত বরন রায়ের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, স্ট্রীট লাইট গুলো শুধু মাত্র রাস্তার পাশে স্হাপনের জন্য সরকার কতৃক বরাদ্দ দেওয়া হয়। কোন অবস্হাতেই কারো বাড়ির ভিতরে স্হাপনের কোন নির্দেশনা নেই। এরকম অভিযোগ গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবে।