আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। এই নির্বাচনে যারা বাধা দিতে আসবে, তাদের প্রতিহত করা হবে। যেকোনো সময় মাঠে নামার জন্য নেতা–কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, নির্বাচন পর্যন্ত মাঠ ছাড়বেন না। ডাক দিলেই চলে আসবেন।
২০ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, বিএনপি ভোটে এলে হেরে যাবে, সেই ভয় থেকেই তারা শেখ হাসিনাকে পছন্দ করেনা। এদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে। তারা শেখ হাসিনার মতো সৎ প্রধানমন্ত্রী আর কাউকে পাইনি। জনপ্রিয় নেতা পাইনি। সাহসী নেতা পাইনি। তাই তারা সেই শেখ হাসিনাকে হারাতে চাই না।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, তারা মেট্রোরেল চায়নি। পদ্মা সেতু চায়নি। কর্ণফুলী টানেল চায়নি। রূপপুর প্রকল্প তাদের পছন্দ নয়। তারা শেখ হাসিনাকেও পছন্দ করে না। তার অপরাধ, তিনি উন্নয়ন করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের নীতি হচ্ছে জনগণের দুঃখ-কষ্টে তাদের পাশে দাঁড়ানো। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশবাসীকে একটি সুন্দর জীবন দিতে চেয়েছিলেন এবং সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু আওয়ামী লীগ সরকার নয়, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও সবসময় মানুষের পাশে ছিল, আগামী দিনেও থাকবে।
রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক , রামগতি উপজেলাধীন বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা।
এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মিয়া মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিংকু এবং লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন (এমপি)।
এ সময় বক্তরা ফরিদুন্নাহার লাইলী তাকে নিয়ে বলেন- তিনি দীর্ঘকাল যাবত লক্ষ্মীপুর- ০৪ ( রামগতি-কমলনগর) আসনের প্রকৃত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের দেখবাল করে আসছেন। এই নদী ভাঙা জনপদের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর আশা আকাঙ্ক্ষা ও উন্নয়নের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর হিসেবে তিনি এমপি থাকাকালীন মহান জাতীয় সংসদে এই এলাকার নদী ভাঙ্গন রোধ ও জনগণের উন্নয়নে বহু দাবি উত্থাপন করেছেন এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছেন।
তিনি এই এলাকার জনগণের প্রিয় নেতা ও মধ্যেমণি হয়ে উঠেছেন দীর্ঘ পথ পরিক্রমায়; জনগণের প্রতি কমিটমেন্ট ও ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে উনিও পেয়েছেন এই এলাকার জনগণের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। পরম মমতায় তিনি আগলে রেখেছেন এই এলাকার জনগণ ও প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের।
কিছু সুবিধাবাদী চরিত্র ও কিছু হাইব্রিড নানাভাবে এই এলাকার প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মামলা হামলা ও হয়রানি করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। এইসব নির্যাতিত নেতাকর্মীদের খোঁজ-খবর, চিকিৎসা সহযোগিতা ও আইনি সহযোগিতাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ফরিদুন্নাহার লাইলী এই জনপদে প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আগলিয়ে রেখেছেন এবং এই জনপদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অবস্থান সুসংহত করেছেন।