নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: রবিবার, নভেম্বর ৭, ২০২১
সাবেক
নৌমন্ত্রী ও সড়ক পরিবহণ
শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান বলেছেন, পরিবহণ
মালিক বা শ্রমিকরা কেউ
ধর্মঘট ডাকেননি। তেলের দাম বাড়ায় মালিকরা
লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে
গাড়ি বন্ধ রেখেছেন।
তিনি
বলেন, ধর্মঘট ডাকতে হলে নোটিশ দিতে
হয় এবং দাবি-দাওয়া
জানাতে হয়। যেহেতু কিছুই
করা হয়নি; সুতরাং এটিকে ধর্মঘট বলা যাবে না।
আশা করছি আলোচনার মাধ্যমে
এর সমাধান হবে।
শনিবার
সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স
ভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভাশেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা
বলেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক
মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান আওয়ামী লীগের
প্রেসিডিয়াম সদস্য।
এর
আগে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাজাহান খান বলেন, বাংলাদেশের
সব মুক্তিযোদ্ধাকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে ও
তাদের দাবি নিয়ে কথা
বলার জন্য গঠন করা
হয়েছে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। এ সংসদের মাধ্যমে
দেশের বিভিন্ন বিশেষায়িত হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা
চালুর পাশাপাশি সরকারের কাছে দাবি রেখেছি
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা
চালু করার। মুক্তিযোদ্ধাদের এ রকম বিভিন্ন
সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কাজ করছে
সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
তিনি
আরও বলেন, বিএনপির সময় বহু রাজাকারের
নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ওঠানো হয়েছে। সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন
প্রকৃত অনেক মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু
বর্তমান সরকারের আমলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারাই
সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা
ভোগ করছেন।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের কথা সব সময়
ভাবেন উল্লেখ করে শাজাহান খান
বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়নে যা করণীয় তা
করে যাচ্ছেন তিনি। আজ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য
মাসিক ভাতা করেছেন ২০
হাজার টাকা। মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়েছেন নতুন বাড়ি। এখন
বাড়ি করার জন্য লোনও
দিচ্ছেন। এই সরকারের আমলেই
স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা
করা হয়েছে।
সভায়
চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের
সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু
হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ
সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান
আলী, জেলা আওয়ামী লীগের
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাবিষয়ক
সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.
মাহবুব হোসেন মেহেদী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার বীর
মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল
মাবুদ জোয়ার্দ্দার, দামুড়হুদা উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আছির
উদ্দিন, ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির
উদ্দিন, সাবেক জীবননগর থানা কমান্ডার বীর
মুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিন।
অনুষ্ঠানটি
পরিচালনা করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা
সংসদের সাবেক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কমান্ডার
বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সারোয়ার সিদ্দিক বাবলু।