ফরিদপুরের সদরপুরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁসহ বিভিন্ন নদ-নদী, খাল জলাশয়, বিল -কোলে অবৈধভাবে আড়াআড়ি বাঁধ ও চায়না দোয়ারি, টোনাজাল, মশারিজাল, সুতিজাল, রাক্ষুসীজালসহ বিভিন্ন ধরণের ছোট ফাসের নিষিদ্ধ জাল দিয়ে অবাধে প্রজণনে প্রস্তুত ডিমওয়ালা মা মাছ ও রেণু পোনা ধরে বাজারে বিক্রি করছে জেলেরা।
এতে জেলেরা লাভবান হলেও চলতি বর্ষা মৌসুমে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছের প্রজণন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা । সদরপুরের চৈতার কোল, ৩২ নং কোল, চরডুবাইল কোল, ছোট কোল বড় কোল শুকিয়ে যাওয়ার কারণে শুকনো মৌসুমে মাছের প্রজণন হচ্ছে না।
সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে সদরপুর মেইন শহরের অতি নিকটে ভুবনেশ্বর নদে সামান্য এলাকায় বাঁশ দিয়ে ঘিরে মৎস্য অভয়াশ্রম করা হয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগন্য। এ ছাড়া ব্যাপক এলাকা যেমন আকোটেরচর হাট সংলগ্ন স্লুইস গেট, চর রামনগর, শিমুলতলি বাজার, হাজীকান্দি খাল, কাটাখালি, লোহারটেক, মুন্সীরচর মরা আড়িয়াল খাঁয়, শয়তানখালী পদ্মার পাড়ঘেঁষে, চন্দ্রপাড়া ঘাট, চরনাছিরপুর, চরমানাইর, নারিকেল বাড়িয়ার বিভিন্ন চরের জলাশয় যেখানে বর্ষার শুরুতেই ডিমওয়ালা মা মাছ প্রজণনের জন্য আসে সেখানে মৎস্য অভয়ারণ্য না থাকায় নিধন হচ্ছে মা মাছ ও রেণু পোনা।
এছাড়াও উপজেলার চরদরিকৃষ্ণপুর খালসহ বিভিন্ন এলাকায় সারাবছর জাল পাতা থাকে। মৌসুমী জেলেদের মাছ ধরা আইন বিষয়ক কোন প্রশিক্ষণ না থাকা ও প্রশাসন কর্তৃক প্রচার প্রচারণা না থাকায় প্রতিনিয়ত ধরা হচ্ছে মা মাছ ও রেণু পোনা। এতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রয়োগ হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস. এম. জাহাঙ্গীর কবির এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি এখানে নতুন এসেছি। মৎস্য বিভাগে লোকবল কম তা সত্ত্বেও আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে অতিশীঘ্রই রেণু পোনা ধরার ওপর অভিযান পরিচালনা করব।