ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ডিএনসিসির মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান

সপ্তম দিনে ১৪টি মামলায় মোট জরিমানা ৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: রবিবার, জুলাই ১৬, ২০২৩

সপ্তম দিনে ১৪টি মামলায় মোট জরিমানা ৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা
ডিএনসিসি'র নিজস্ব নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পাওয়ায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা করলো ডিএনসিসি'র ম্যাজিস্ট্রেট 

এবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) নিজেদের নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ডিএনসিসি'রই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। 

শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে গাবতলী বেড়িবাঁধ রোডে ডিএনসিসির ক্লিনার্স পল্লী আবাসন এর নির্মাণাধীন দুটি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মার্ক বিল্ডার্স এবং মাইশা কন্সট্রাকশনকে দুটি মামলায় ২ লক্ষ টাকা করে মোট ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান নিজেদের নির্মাণাধীন ভবনে এই অভিযান পরিচালনা করেন। এছাড়াও তিনি মিরপুর মডেল থানাধীন দারুস সালাম রোডে সরকারী কর্মচারীদের আবাসনের জন্য নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বংগ বিল্ডার্সকে একটি মামলায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন।

অভিযানকালে অঞ্চল-০৪ এর আওতাধীন ০৯ ও ১২নং ওয়ার্ডস্থিত গাবতলী সিটি কলোনী, পাইকপাড়া স্টাফ কোয়াটার এলাকায় প্রায় ১০০টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেষ্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। লার্ভা ধংস করা হয়েছে। অঞ্চল-৪ এর আওতাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, উপ প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে.কর্ণেল মোঃ গোলাম মোস্তফা সারওয়ার, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবেদ আলী। 

ডিএনসিসির মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযালনের সপ্তম দিনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৪টি মামলায় মোট ৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। 

অঞ্চল-৫ এর ফার্মগেট এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাসির উদ্দিন মাহমুদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে ৪টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ০৪টি মামলায় মোট ০২ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করা হয় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ফার্মগেটে অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান।

অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন মহাখালী এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসা বাড়ী, বাণিজ্যিক ভবন ও নির্মানাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাঁড়ে মশক বিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২টি ভবন মালিককে ২টি মামলায় মোট ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ডিএনসিসির অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন হরিরামপুর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে ৪টি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৪টি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। 

অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন  এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। একটি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেষ্টুরেন্ট ও দোকানপাটসহ মোট ৩৮৫টি স্পট পরিদর্শন করা হয়। 

অঞ্চল ১ আওতাধীন উত্তরা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে জোন অফিস, কমিউনিটি সেন্টার, ২ টি নগর মাতৃসদন, কবরস্থান, STS পরিদর্শন করা হয়েছে । পরিদর্শনকালে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি, তবে ভবিষ্যতে লার্ভা উৎপন্ন হতে পরে এমন স্থানসমূহে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে । লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করে ডেঙ্গুর বিষয়ে সকলকে সতর্ক ও সচেতন করা হয়েছে ।

এছাড়াও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন। বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও ডিএনসিসির কর্মীদের সাথে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

উল্লেখ্য, মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান তদারকির জন্য সকল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দশটি টিম গঠন করা হয়েছে। দশটি টিম প্রতিদিন চলমান অভিযান তদারকি করছে।