শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দুর্গরহস্য’ অবলম্বনে সৃজিত মুখার্জি নির্মাণ করছেন ‘ব্যোমকেশ দুর্গরহস্য’। সম্প্রতি ভারতের মধ্যপ্রদেশের একটি জঙ্গলে সিনেমার শুটিং চলে। শোনা গিয়েছিল মৌমাছি-বাঘসহ কিছু হিংস্র কীট-পতঙ্গ এবং পশুর উপদ্রব রয়েছে সেই জঙ্গলে। আর সত্যিই মৌমাছির কামড়ে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল সৃজিত ও তার শুটিং টিমের। এ রকম আর একটি ঘটনা ঘটল ‘গুম হ্যায় কিসি কি প্যায়ার মে’ ধারাবাহিক নাটকের সেটে। নাটকের শুটিং সেটে হঠাৎ করেই ঢুকে পড়ে বিশাল এক অজগর সাপ। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুম্বাই ফিল্ম সিটিতে ‘গুম হ্যায় কিসি কি প্যায়ার মে’ নাটকের শুটিং চলছিল। যার সীমানা বরাবর রয়েছে সঞ্জয় গান্ধী জাতীয় উদ্যান।
সেখান থেকে সম্ভবত সেটে ঢুকে পড়েছিল অজগর। সম্প্রতি সেই অভিজ্ঞতাই সবাইকে জানিয়েছেন অভিনেতা শক্তি অরোরা। যিনি সেসময় ‘গুম হ্যায় কিসিকি প্যায়র মে’ ধারাবাহিকের শুটিং করছিলেন।
শক্তি অরোরা জানিয়েছেন, সাপটিকে দেখার পর সঙ্গে সঙ্গে বন দপ্তরকে খবর দেওয়া হয়। সেখান থেকে বনকর্মীরা এসে অজগরটিকে উদ্ধার করে আবারো বনে ছেড়ে দেওয়া হয়। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আতঙ্ক যেন কিছুতেই কাটছিল না। কারণ, হাজার হোক অজগর বলে কথা। তার ওপর তাদের বলা হয়েছিল ওই নারী অজগরটি নাকি ১০০-১৫০টি ডিম পাড়েছে।
শক্তি অরোরা বলেন, ‘আমরা জঙ্গল লাগোয়া শুটিং করছিলাম ঠিকই, কিন্তু জঙ্গলের মধ্যে তো করিনি। আমাদের চারপাশে আরও অনেক টিভি সেট ছিল। আর এই প্রথম নয়, এর আগেও আমি একটি হরিণ এবং একটি সাপকে রাস্তা পার হতে দেখেছি।’ এভাবেই আতঙ্ক বুকে নিয়ে মুম্বাই ফিল্ম সিটিতে শুটিং করার কথা জানিয়েছেন শক্তি অরোরা। এর আগেও তারই মতো বহু অভিনেতা ফিল্ম সিটিতে এভাবে বন্যপ্রাণীর হানার কথা জানিয়েছেন।