ব্যবসায়ী লুৎফর মোল্লা হত্যা মামলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত তিনজনের ফাঁসির আদেশ দেওয়ায় গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ার চরকুশলী এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে ওই এলাকার লোকজন সাংবাদিকদের বলেন, উচ্চ আদালতে আপিল হলেও এ রায় যেন বহাল থাকে। দৃষ্টান্তমুলক এ শাস্তিতে আর কেউ এ ধরনের জঘন্য কাজ করবে না। সমাজ থেকে অপরাধের পরিমান কমবে।
সোমবার (১০ জুলাই) গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাকসুদুর রহমান এ আদেশ দেন। এসময় প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। রায় ঘোষণার সময় মামলার সকল আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, খুলনার দাকোপ উপজেলার আমতলা গ্রামের শফিউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ হাওলাদার (৩২), গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার চরকুশলী গ্রামের পান্নু শিকদারের ছেলে আব্দুল্লাহ শিকদার (১৯) ও একই এলাকার মন্টু শিকদারের ছেলে সাজেদুল ইসলাম (২৩)।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, লুৎফর মোল্লা ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলার চরকুশলী গ্রামে যান। সেখান থেকে রাত দশটার দিকে ফেরার পথে তিনি খুন হন।এঘটনায় তার ছেলে সজীব মোল্লা বাদি হয়ে টুঙ্গিপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার দুপুরে এ মামলার তিন আসামির ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।
সজিব মোল্লা বলেন, আমার বাবা হত্যার এ রায়ে আমরা খুশি হয়েছি। আমরা সঠিক বিচার পেয়েছি। আশাকরি উচ্চ আদালতেও এ রায় বহাল থাকবে।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আজগার আলী খান বলেন, মামলার রায়ে সঠিক বিচার পেয়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। অবিলম্বে এ রায় কার্যকরের দাবি জানাই আমরা।
মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. আবু সুফিয়ান বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। শুধুমাত্র একটি স্বীকারোক্তির উপর ভিত্তি করে এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশা করি সেখান থেকে সকল আসামি বেকসুর খালাস পাবেন।