Can't found in the image content. আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের শ্রদ্ধাঞ্জলি | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের শ্রদ্ধাঞ্জলি

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শুক্রবার, জুন ২৩, ২০২৩

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের শ্রদ্ধাঞ্জলি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ২৩ জুন শুক্রবার সকাল ১১টায় ধানমণ্ডি বত্রিশে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, সহ-সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সুজন, দীনেশ চন্দ্র, জিয়া হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ নূর আলম সরদার, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রাব্বী হাসান শাওন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, ঢাকা কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ লিয়ন, বংশাল থানা শাখার সভাপতি জয়নুল আবেদীন জনিসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, "বাঙালির মুক্তি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠিত হয়েছিল। বাঙালির স্বাধীনতা অর্জন, অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম ও সামাজিক মর্যাদা রক্ষায় এই দলটির গুরুত্বপূর্ণ অবদান রযেছে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে শোষিত-বঞ্চিত, নিপীড়িত, অত্যাচারিত ও সাধারণ মানুষের পক্ষে দলটি কাজ করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যতগুলো মহান অর্জন তা এই দলের নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছে। দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই দলটি অনন্য সাধারণ ভূমিকা রেখেছে।

ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকেই বঙ্গবন্ধু মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশ ঘটে। এরপরে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটলে এবং দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারলেন যে, পাকিস্তানের জন্য লড়াই করলাম, এই পাকিস্তান বাঙালির কোন উপকারে আসবে না।

পরবর্তীতে বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য একটি রাজনৈতিক দল গঠন করা দরকার। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। বহু বিবর্তন ও পরিবর্তনের মাধ্যমে আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াত্তর বছরে পা রেখেছে। এই দীর্ঘ সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাফল্য রয়েছে আকাশচুম্বী।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন দক্ষ, সৎ, যোগ্য, দূরদর্শী ও জনদরদী নেতা ছিলেন। তিনি ভাষাসংগ্রামী, স্বাধীনতা সংগ্রামী মহান নেতা ছিলেন। বাঙালির দুঃখে তিনি সবসময় ব্যথিত হতেন। বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক মুক্তি ও সমতা এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণের জন্য তিনি ব্যাকুল ছিলেন। এই জন্য তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ গঠন করেন।

এই দলের নেতৃত্বেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে ও আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আজ অর্থনৈতিক মুক্তির যে সংগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

বহু উত্থান-পতন, সফলতা-ব্যর্থতা, চরাই-উতরাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজকের এই অবস্থানে এসেছে। বারবার আওয়ামী লীগের উপরে আঘাত এসেছে কিন্তু সংগঠনপ্রেমিক মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন যুগিয়েছে, শক্তি দিয়েছে ও রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছে এদেশের আপামর জনগণ।"

আল মামুন আরোও বলেন, "দেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত বাকশাল ছিল একটি দর্শন।

বাকশাল কোন একদলীয় শাসন ছিল না। বাকশাল ছিল শোষিত-বঞ্চিত, মেহনতী মানুষের কল্যাণে দ্বিতীয় বিপ্লবের অর্থনৈতিক কর্মসূচী বাস্তবায়নের একটি সুস্পষ্ট কর্মসূচী। এটি প্রতিষ্ঠিত হলে সমাজে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য থাকতো না এবং সুখে-শান্তিতে প্রতিটি মানুষ বসবাস করতো ও বেঁচে থাকার অধিকার পেতো।

একাত্তরে পরাজিত স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানি অপশক্তি কর্তৃক বাকশাল সম্পর্কে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। তাদের দোসর বিএনপি-জামাত এখনো সেই মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুই একমাত্র মহান নেতা যিনি একটি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় অনুপ্রাণিত করে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। এই জন্যই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির পিতা।

বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর মতো জাতীয়তাবাদী নেতা খুব কমই আছেন। আমাদের সৌভাগ্য এই যে, বঙ্গবন্ধুর মতো একজন মহান নেতাকে পেয়েছিলাম।

বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অগ্রযাত্রার চুয়াত্তর বছর পূর্তিতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। সেই সাথে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, দলমত নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে তাঁকে সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।"