নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, নভেম্বর ৬, ২০২১
মাদারীপুরের
কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুর রহমান মিলন সরদারের বাড়িঘরে
হামলা ও তাকে হত্যাচেষ্টার
অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান
প্রার্থী সাহীদ পারভেজের বিরুদ্ধে।
স্বতন্ত্র
প্রার্থী আলীনগর নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ
রয়েছেন জানিয়ে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে
নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ
করেন। এসময় তিনি কালকিনি
থানার ওসিসহ পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও করেন।
নৌকা
প্রতীক প্রার্থী সাহীদ পারভেজের বিরুদ্ধে হাফিজুর রহমান মিলন সরদার বলেন,
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাহীদ পারভেজের কর্মী-সমর্থক নিয়ে গত ২৮
অক্টোবর হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাড়িঘরে ব্যাপক
হামলা চালিয়ে ১০টি মোটরবাইক, একটি
প্রাইভেটকারসহ কোটি টাকার ক্ষতি
করে।
মিলন
বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি
অবরুদ্ধ থাকাবস্থায় আমার ভাইকে দিয়ে
কালকিনি থানায় মামলা করতে গেলে থানার
সামনে নৌকা প্রতীকের লোকজন
বাধা দেয়। পরবর্তীতে আমি
আদালতে মামলা করি। এখন বাড়িতে
অবরুদ্ধ রয়েছি। পুলিশ প্রশাসন আমাকে কোনো সহযোগিতা করে
না।’
সংবাদ
সম্মেলনে মিলন বলেন, ‘বর্তমান
নৌকার প্রার্থী কিছু দিন আগে
ভেজাল ওষুধ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আটক হয়।
তার বিরুদ্ধে এ বিষয়ে একটি
মামলা চলমান আছে। কিন্তু মামলা
চলমান অবস্থায় তিনি কীভাবে নির্বাচন
করেন, আমার জানা নেই।
এটা বাংলাদেশের সংবিধানেও আছে কি না
জানি না। এছাড়া আমার
বাড়িতে হামলার ঘটনাকে মিথ্যা প্রমানিত করতে তার লোকজন
নিজেরাই এলাকার একটি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের
ঘর ভাংচুর করেন।’
কালকিনি
থানা পুলিশের উদ্দেশ্যে মিলন সরদার বলেন,
‘আমার মনে হয় কালকিনি
থানা সাহীদ পারভেজের একটি আড্ডাখানা। সেখানে
তার কথাতেই সব চলে। আর
বর্তমান ওসি (ইসতিয়াক আসফাক
রাসেল) আমার কোনো অভিযোগ
শোনেন না। তিনি থানায়
দায়িত্বে থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তার
বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের
সুদৃষ্টি আশা করছি।’
তবে
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান
প্রার্থী সাহীদ পারভেজ বলেন, ‘দীর্ঘ দিন মিলন সরদারের
অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আলীনগরবাসী এক হয়েছে। এটা
দেখে আমার নির্বাচনী ক্যাম্পের
নৌকা প্রতীক ভাঙচুর করে এবং প্রধানমন্ত্রীর
ছবি ছিঁড়ে ফেলেছে। তার সঙ্গে কোনো
জনগণ নেই, আছে কয়েকজন
দালাল। এ কারণে আমার
জয়ের সম্ভবনা দেখে তিনি কুৎসা
রটাচ্ছেন। আমি তার বিরুদ্ধে
আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’
অভিযোগের
ব্যাপারে একাধিকবার কালকিনি থানার ওসি ইসতিয়াক আসফাক
রাসেলকে ফোন করেও পাওয়া
যায়নি। তবে মাদারীপুরের অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) চাইলাউ
মারমা বলেন, ‘তার (হাফিজুর রহমান
মিলন সরদার) বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দিতে বলেছি। কিন্তু
তিনি থানায় মামলা দেয়নি। পরে আদালতে দিয়েছেন।
আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো। আর পুলিশ কোনো
অবস্থায়ই পক্ষপাতিত্ব করে না, আগামীতেও
করবে না। তারপরেও তার
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে করতে পারেন। আমরা
তা খতিয়ে দেখবো।’