ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

সদরপুরে কোরবানিকে সামনে রেখে গবাদিপশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা

শিশির খাঁন, সদরপুর-চরভদ্রাসন প্রতিনিধি | আপডেট: মঙ্গলবার, জুন ১৩, ২০২৩

সদরপুরে কোরবানিকে সামনে রেখে গবাদিপশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা
কোরবানিকে সামনে রেখে গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার মাস্টার বাড়ি এগ্রো ফার্মের খামারি কামরুল হাসান ফারুক। দেশীয় জাতের ৫০ টি গরু নিয়ে এবছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন তিনি। প্রাকৃতিক উপায়ে লালনপালন করা এসব দেশীয় গরুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে হাটে।

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরমানাইর ইউনিয়নের বাসিন্দা কামরুল হাসান ফারুক। ২০১৬ সালে তিন ভাইয়ের সহযোগীতায় নিজ এলাকায় শুরু করেন মাস্টার বাড়ি এগ্রো নামে একটি গরুর ফার্ম। দেশীয় জাতের ছোট-বড় প্রায় ৫০ টি ষাঁড় গরু দিয়ে এবছর ভরে তুলেছেন তার খামার। ৭০ হাজার থেকে পোনে ২ লাখ টাকায় কেনা এসব গরু এখন ২ থেকে ৫ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন তিনি। গরু গুলোকে নিবির পরিচর্যার মাধ্যমে মোটাতাজা করতে নিয়োগ করেছেন ৫ জন লোক। দেশীয় প্রজাতির লাল, কালো ও সাদা রং এর এসব গরুকে দ্রুত বড় ও এদের থেকে অধিক মাংস পেতে সুষম খাবারের পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভাবে লালনপালন করা হচ্ছে। প্রতিটি গরুর পেছনে সুষম খাবার জন্য ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। 

গেল বছর শেষ সময়ে ভারত থেকে এদেশে গরু প্রবেশ করায় দেশীয় গরুর দাম কমে যায়, এতে ব্যবসায়ীক ক্ষতির শিকার হন ফারুকসহ স্থানীয় খামারীরা। এবার তাই দেশীয় গরুর বাজার পেতে ভারতীয় গরু প্রবেশ বন্ধের দাবি তাদের। দেশীয় গরুর খামারকে আরো বেশি জনপ্রিয় করতে গরুর খাদ্যের দাম কমানোসহ সহজ সত্বে ঋণ চান খামারিরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম (অঃ দাঃ) বলেন, এ বছর উপজেলায় প্রায় ২০ হাজারের অধিক কোরবানিযোগ্য গরু এবং ২৮ হাজারের অধিক ছাগল প্রস্তুত আছে। কোরবানি ঈদে গবাদিপশুর লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার প্রায় এবং ছাগলের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার প্রায়।

তিনি বলেন, উপজেলায় গরু মোটাতাজাকরনের খামার প্রায় ২ হাজারের অধিক আছে ও ছাগলের খামার প্রায় ৫ শত এর অধিক রয়েছে। কোরবানির পশুর হাট গুলোতে আমাদের ভ্যাটানারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। চরাঞ্চলে আমাদের যথেষ্ঠ পরিমান গরু রয়েছে এজন্য আমাদের মাঠকর্মিও নিয়োজিত আছে, চরঞ্চলে দেশীয় গরু যে গুলো আছে তা লালন পালনের জন্য খর জাতীয় খাবার হয়তো পাচ্ছেনা, কিন্ত ঘাস জাতীয় খাবার সেখানে যথেষ্ট পরিমান আছে।