ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বুধবার, জুলাই ৩, ২০২৪ |

EN

পরিচালকের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকলে যে সুবিধা, জানালেন তমা মির্জা

বিনোদন ডেস্ক | আপডেট: রবিবার, জুন ১১, ২০২৩

পরিচালকের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকলে যে সুবিধা, জানালেন তমা মির্জা
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তমা মির্জা। ইতোমধ্যেই অভিনয়ে নজর কেড়েছেন দর্শকদের। সম্প্রতি ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে অভিনেত্রীর আসন্ন সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’র ট্রেলার। আর এ সিনেমার মাধ্যমেই প্রায় তিন বছর পর পর্দায় ফিরছেন তমা।

সিনেমাটি নির্মাণ করছেন এ প্রজন্মের তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফী। পর্দায় টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোর দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে। তবে পর্দার বাইরে নির্মাতার সঙ্গে বেশ ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে তমার। কিন্তু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, যখন শুটিং সেটে থাকেন, তখন কেউ কাউকে চেনেন না।

তমা মির্জা বলেন, নির্মাতার সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকলে, একটা তো ভালো আন্ডারস্ট্যান্ডিং থাকে। ডিরেক্টরের ভাষা বুঝতে অনেক সহজ হয়। অনেক বেশি ব্রিফিং দিতে হয় না। নির্মাতাও তার ভাবনাচিন্তা নির্বিঘ্নে শেয়ার করতে পারেন। তবে আমি কিন্তু শুটিং সেটে প্রচুর বকা খাই।

অভিনেত্রী আরও বলেন, যখন শুটিং সেটে থাকি, তখন সে আমার পরিচালক, আমি তার আর্টিস্ট। আর ওই সময় একদমই আমরা কেউ কাউকে চিনতে চাই না, চিনিও না। আমাদের সেটে যে শিল্পীরা থাকেন, তারাও এটা বোঝেন। আর এই সিনেমায় বকা খেয়ে অনেক মন খারাপ হয়েছে। এমনকি চোখের কোণে পানিও এসেছে। মুখ গোমরা করেও বসে ছিলাম। কিন্তু পরে যখন দৃশ্য দেখেছি, তখন মনে হয়েছে, বকা খাওয়াটা দরকার ছিল।

সিনেমায় নিশোর সঙ্গে কাজের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আফরান নিশো ভাইয়ের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা ভীষণ ভালো। তিনি এত ভালো একজন অভিনেতা। তার জায়গায় তো তিনি স্টার। এত অভিজ্ঞ একজন অভিনেতার সঙ্গে কাজ করছি, কিন্তু তার মধ্যে সেই গাম্ভীর্য, জড়তা কিছুই পাইনি, যদিও তার সঙ্গে প্রথম কাজ এটা।

নিজেকে কি পরিপূর্ণ শিল্পী মনে করেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। আমি প্রতিনিয়ত শিখছি এবং শিখতে চাই, কেননা, শেখার বয়স নেই। সবসময় শেখা যায়। একজন পরিপূর্ণ শিল্পী হতে অনেক সময় লাগে। তবে, নিজেকে পরিশ্রমী শিল্পী বলতে পারি। আবার এটাও মনে করি ভালো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করলে অনেককিছু শেখা যায়।

কথায় কথায় তমা মির্জা আরও জানান, ভালো পরিচালক, ভালো স্ক্রিপ্ট এবং ভালো অভিনয়ই পারে ভালো একটি সিনেমা উপহার দিতে। তিনের সমন্বয় জরুরি।