মনোহরদী পৌর এলাকায় এক সাবেক প্রাথমিক শিক্ষক পিতা ও তার ৪ কন্যা মৃত মায়ের লাশ খাটের নিচে রেখে খুব স্বাভাবিক ভাবেই ৬ দিন বাড়ীতে বসবাস করছিলেন। পরে দুর্গন্ধ্যে অতিষ্ঠ পাড়া প্রতিবেশী পুলিশে ফোন করলে মায়ের গলিত লাশ উদ্ধার ও বাপসহ ৪ মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, মনোহরদী পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার নিজেদের বাড়ীতে বসবাস করতেন মোক্তার উদ্দীন তালুকদার (৬৮), তার স্ত্রী নাজমা ও ৪ মেয়ে।গত সোমবার ভোরে মহিলা মারা যান।তিনি নাকি মৃত্যুর আগে তার পরিবারের সবাইকে বলে যান,মৃত্যুর ৩/৪ দিন পর তিনি পুনরুজ্জীবিত হবেন। এক পীরের ভন্ডামিতে বিশ্বাসী পরিবারটি তার লাশ এ বিশ্বাসে বসত ঘরের খাটের নিচে রেখে খুব স্বাভাবিক ভাবে সংসার দিন কাটাচ্ছিলেন। এতে ঘুনাক্ষরেও পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজনদের কেউ এতো বড়ো ঘটনা আঁচ করতে পারেননি।
পরে ঘরের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে পাড়া প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন।পুলিশ গতকাল মধ্যরাতে বাড়ীতে হানা দিয়ে দরোজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতর খাটের নিচে থেকে নাজমা (৫৬) এর লাশ উদ্ধার করে।এ সময় বাপ অর্জুনচর গ্রামের মোক্তার উদ্দীন তালুকদার ও তার ৪ মেয়ে ঘরের ভেতরই অবস্থান করছিলেন।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের সবাইকে থানায় নিয়ে গেছে।বিষয়টির রহস্য উদঘাটনে পুলিশি তদন্ত অব্যহত রয়েছে।
মনোহরদী থানার ওসি ফরিদ উদ্দীন জানান,পরিবারটি এক পীরের মুরীদ ছিলেন বলে জানিয়েছে। তারা প্রতিদিন ভোর ৩ টা থেকে ৫টা ৬টা পর্যন্ত জিকির করতেন। জিকিররত অবস্থায় নাজমার মৃত্যু ঘটে বলে তারা পুলিশকে জানিয়েছে। পোষ্ট মর্টেমের জন্য লাশ নরসিংদী প্রেরন করা হয়েছে। পোষ্ট মর্টেম ও পরবর্তী তদন্তে বিস্তারিত জানা যেতে পারে।